হিন্দু
ধর্মে ঈশ্বরের মূর্তির গুরুত্ব অপরিসীম। সমৃদ্ধি আনতে এবং ঘর থেকে নেতিবাচকতা দূর
করতে, ঘরে রাখা সেই মূর্তির প্রতিদিন পুজো করা উচিৎ। কিন্তু
জানেন কি এই তিনটি মূর্তি কখনওই ঘরে আনা উচিৎ নয়। তা না হলে হয়
বাস্তু দোষ।
প্রথমত, বাড়িতে অবশ্যই গণেশের মূর্তি রাখতে হবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সেই মূর্তি দেবী লক্ষ্মীর বাম দিকে হওয়া উচিত। মা লক্ষ্মীকে সর্বদা দেবী
সরস্বতীর ডান দিকে স্থাপন করা উচিৎ। তবে মনে রাখবেন গণপতির প্লাস্টার অফ প্যারিসে
তৈরি নৃত্যরত মূর্তি রাখা উচিৎ নয়। অভয়দানকারী ভগবান গণেশের উপবিষ্ট মূর্তিকে শুভ
বলে মনে করা হয়।
দেবী
লক্ষ্মীর মূর্তি ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আনে, কিন্তু
সেই মূর্তি যেন এমন হয় যে দেবী বসে রয়েছেন। ঠাকুরের সিংহাসনে দেবী লক্ষ্মীর দাঁড়ানো মূর্তি কখনই
রাখা উচিৎ নয়। দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি থাকা আরও বেশি শুভ।
ঘরে
শিবলিঙ্গ স্থাপন করার সময় মনে রাখবেন যে তাতে যেন প্রতিদিন জল নিবেদন করা হয়।
শিবলিঙ্গ খুব বড় রাখা উচিৎ নয়।
বাড়িতে মৃত
আত্মীয় স্বজনের ছবি রাখা উচিৎ নয়। থাকলেও তাদের ছবিকে প্রতিদিন পুজো করা উচিৎ
নয়। মৃত আত্মীয়দের শুধুমাত্র পিতৃপক্ষে তর্পণ করা উচিৎ।
ঘরে
রাহু-কেতু, শনিদেব বা কালী মাতার মূর্তি রাখবেন না। এই সমস্ত
দেবতা তাদের উগ্রতার জন্য পরিচিত। আর এর পুজোর আচারও খুবই কঠিন।
ঘরে
হনুমানজির মূর্তি রাখলে সমস্ত ঘরোয়া ঝামেলার অবসান হয়। বাড়িতে ভাইদের মধ্যে
ঝগড়া হলে রাম দরবারের মূর্তি রাখুন। এতে করে ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকে।