হাইকোর্টের
নির্দেশে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন । তাঁদের
এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত শ্রম আইন অনুসারে নেওয়া
হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যত দিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলবে, তত দিন কারও বেতন বন্ধ করা হবে না।
SSC Scam: চাকরি বাতিল কাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে গেল রাজ্য সরকার
শ্রম আইন
অনুসারে, কেউ কাজ করলে তার উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হয়। শিক্ষা
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু মামলাটি এখন সুপ্রিম
কোর্টের বিচারাধীন এবং ওই ২৫,৭৫৩ জন প্রত্যেকেই এপ্রিল মাস
জুড়ে কাজ করেছেন, তাই তাঁদের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্তই যুক্তিসঙ্গত। সেই
আইন অনুসরণ করেই চাকরিহারাদের এপ্রিলের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
SSC Recruitment Scam: “২০১৬ সালের সমস্ত ওএমআর বাতিল, পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এসএসসি’কে”, জানাল হাইকোর্ট
স্কুল
সার্ভিস কমিশনের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম
কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা
পর্ষদের তরফেও আলাদা ভাবে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির
ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। তার ফলে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জনের। যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন
ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।