মহাভারত
ঘাঁটলে পাণ্ডবদের আত্মত্যাগের কথাই আমরা বেশি জানতে পারি।
নিজেদের পরিবার বা সন্তান থেকে শুরু করে অনেক কিছুই তাদের আত্মত্যাগ করতে হয়েছিল।
১২ বছর বনবাস এবং ১ বছর অজ্ঞাতবাসে কাটাতে হয়েছিল পঞ্চপাণ্ডব এবং তাঁদের স্ত্রী দ্রৌপদীকে।
যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেবের অজ্ঞাতবাস কেটেছিল ছদ্মবেশে। সেই সময় পাণ্ডবরা
নিজেদের যুদ্ধাস্ত্র কোথায় রেখেছিলেন জানেন?
শমী বৃক্ষে
নিজেদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন পাণ্ডবরা। এই বৃক্ষের কোটরেই তারা দিনের পর দিন
অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন। শমী গাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কবি কালিদাস শমী বৃক্ষের
নীচে বসে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
বাড়িতে শমী গাছের পাতা দিয়ে পুজো করলে বাঁধা বিঘ্ন দূর হয়ে যায়। আয়ুর্বেদ
শাস্ত্রে চোখের জন্য শমী বৃক্ষ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অনেক রোগের ওষুধ
তৈরিতে এই গাছ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শমী গাছ গনেশের অতি প্রিয় বৃক্ষ বলেই
পরিচিত।
পশ্চিমবঙ্গের
দক্ষিন দিনাজপুরে আজও দেখা যায় শমী গাছ। এই গাছ দেখতে গেলে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার
সদর শহর থেকে বাসে করে হাতিরামপুরে নামতে হবে। সেখান থেকে যে কোনও ছোট গাড়ি করে
হাতিডুবা গ্রামে গেলেই দেখতে পাবেন এই গাছ।