এখনও চাঁদের মাটিতেই নিস্তব্ধতে রয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। ল্যান্ডার
বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে তাদের কাজ একেবারে ঠিকঠাক ভাবে সম্পন্ন
করেছে। বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রয়েছে তারা। এবার সেই নিষ্ক্রিয় বিক্রমকে ডাক দিল নাসার
মহাকাশযান। বিক্রমের কাছে লেজার রশ্মি পাঠানো হল। সাড়াও মিলেছে।
১২ ডিসেম্বর চন্দ্রযান-৩-এর
ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নাসার লুনার রেকনাইস্যান্স অরবিটর বা
এলআরও। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, বিক্রমের দিকে
এলআরও-এর যন্ত্রটি তার লেজির রশ্মি তাক করে। বিক্রম এবং নাসার মহাকাশযানের দূরত্ব
ছিল ১০০ কিলোমিটার। যত দূর থেকেই আলো ফেলা হোক, যে কোণ থেকেই
আলো ফেলা হোক, পাল্টা সাড়া মেলাই দস্তুর। ল্যান্ডার 'বিক্রমে' বসানো সেই রিফ্লেক্টর থেকেই সাড়া পেল NASA।
উদ্বোধনের আগেই বিক্রি রামলালার প্রসাদ, অ্যামাজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে নোটিস পাঠাল কেন্দ্র
বিক্রমের মধ্যে আগে থেকেই বসানো ছিল
নাসার তৈরি রেট্রোরিফ্লেক্টর নামের একটি যন্ত্র। তাতে প্রতিফলিত হয়ে LRO-তে ফিরে যায় লেজার রশ্মি। নাসা এভাবে তার কাঙ্খিত পরীক্ষায়
সফল হয়েছে। বিক্রমের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা গিয়েছে। ২০০৯ সালের ১৮ জুন Lunar
Reconnaissance Orbiter নামের স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ করে
NASA। সেটি মেরু অঞ্চল
বরাবর চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছ। ওই মহাকাশযান থেকে আলো ফেলেই 'বিক্রমে'র থেকে সাড়া পেয়েছে NASA। ভারতের ল্যান্ডার 'বিক্রম'
এই মুহূর্তে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে Manzinus গহ্বরের
কাছে অবস্থান করছে বলে জানা গিয়েছে।
Vastu Tips: বাড়ির এই স্থানে রাখুন লক্ষ্মীর বাহনকে, সংসারে হু-হু করে আসবে টাকা
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশে কোনও বস্তুর দিকে লেজার রশ্মি পাঠিয়ে তার অবস্থান
নির্ণয়ের প্রক্রিয়াটি নতুন কোনও কৌশল নয়। গন্তব্যে পৌঁছতে আলো কত সময় নিচ্ছে তার
মধ্যে হিসাব করা হয় দূরত্বের। তবে এ ক্ষেত্রে অবলম্বন করা হয়েছে উল্টো পদ্ধতিও ।
মহাকাশে চলন্ত কোনও বস্তু থেকে স্থির বস্তুর উদ্দেশে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করে
নির্ণয় করা যায় স্থির বস্তুটির অবস্থান। আগামী দিনে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা পরীক্ষা
নিরীক্ষায় কাজে লাগবে এই কথা ভেবেই নাসা ইসরোর ল্যান্ডারে যন্ত্র বসিয়েছিল। এবার
নাসা বিক্রমের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিল রেট্রোরিফ্লেক্টরটি। ২৩ অগাস্ট চাঁদের
দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-এর ল্যান্ডার বিক্রম। তারপর সেটির থেকে
বেরিয়ে আসে রোভার। এরপর নির্দিষ্ট সময় ধরে চাঁদের বুকে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা
চালিয়ে কথা মতো ঘুমিয়ে গিয়েছে চাঁদের বুকেই।