শিবের একাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ
কেদারনাথের দরজা কবে খুলবে তা নিয়ে চলছিল চাপান উতোর। চাতক পাখির মতো দিন গুনছিলেন ভক্তরাও। অবশেষে তাঁদের জন্য এল
সুখবর। এপ্রিলেই খুলছে ভক্তদের জন্য কেদারের দ্বার।
পঞ্চাং গণনার পর কেদারনাথ মন্দিরের
দরজা খোলার শুভ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। উখিমঠে আচার্যদের উপস্থিতিতে জানানো হয়
যে ২৫ এপ্রিল সকালে একলিঙ্গেশ্বরের দরজা খুলবে। সকাল ৬:২০ মিনিটের সময় নির্ধারিত
হয়েছে। মহাদেবের ডোলি ২১ এপ্রিল ওমকারেশ্বর মন্দিরের শীতকালীন আসন উখিমঠ থেকে
কেদারনাথের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এরপর ২৪ এপ্রিল কেদারনাথ ধামে পৌঁছাবে।
ওমকারেশ্বর মন্দির থেকে ডোলি নিয়ে
প্রথম দিন গুপ্তকাশীতে রাত্রি যাপন করবেন সেবকরা। পরের দিন ডোলি যাবে গুপ্তকাশী
থেকে ফাটা পর্যন্ত। এরপর ২৩ এপ্রিল গৌরী কুণ্ড, তারপর ২৪ তারিখ কেদারনাথ ধামে পৌঁছাবে। পরের দিন অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল খুলে দেওয়া
হবে কেদারনাথ ধামের দরজা।
আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম নৈহাটির ছেলে
আরও পড়ুন: কামাখ্যা নরবলিকাণ্ডের নয়া মোড়
কেদারনাথের দ্বার খুলে গেলে এখানে
প্রথমে আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজা করা হয়। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়েই খুলে যায় দরজা।
যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রীর দরজা খুলে
দেওয়া হবে ২২ এপ্রিল। অন্যদিকে, বদ্রীনাথ খুলবে ২৭
এপ্রিল। পুণ্যার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। পায়ে হেঁটে যাত্রার পাশাপাশি
হেলিকপ্টারে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই পরিষেবার জন্য আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে
অনলাইনে বুকিং করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।
উত্তরাখণ্ড পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদ
জানিয়েছে,
এই বছর চার ধাম যাত্রার জন্য ৬ লক্ষ ৩৪ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী
নাম নথিভুক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ২ লক্ষ ৪১ হাজার পুণ্যার্থী নাম নথিভুক্ত
করেছেন কেদারনাথ যাত্রার জন্য। বদ্রীনাথ ধামের জন্য নাম নথিভুক্ত হয়েছে ২ লক্ষ ১
হাজার। যমুনোত্রীতে ৯৫ হাজার ১০৭ এবং গঙ্গোত্রী ধাম যাত্রার জন্য ৯৬ হাজার ৪৪৯ জন
নাম নথিভুক্ত করেছেন। চারধাম যাত্রার আগে পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে।
থাকবে বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থা।