থাইল্যান্ডের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন।
এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যা পূর্বে 'সিয়াম' নামে পরিচিত ছিল।
১৯৪৮ সালে এর নাম
পরিবর্তন করে থাইল্যান্ড করা হয়। যদিও কিছু মানুষ এখনও থাইল্যান্ডকে সিয়াম নামেই ডাকে। এই দেশটি বৌদ্ধ ধর্মের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত, কারণ এখানকার ৯৫ শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। তা সত্ত্বেও এখানে ভগবান রাম এবং বিষ্ণুর পূজা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, এখানকার রাজপরিবার নিজেদেরকে রামের পুত্র কুশের বংশধর বলে
মনে করে।
থাইল্যান্ডের জাতীয় গ্রন্থের নাম 'রাম কিয়েন', যা রামায়ণের থাই সংস্করণ। এখানে জাতীয় প্রতীক গরুড়। গরুড়কে ভগবান বিষ্ণুর বাহন হিসাবে বিবেচনা করা হয় তা
হিন্দু ধর্মানুসারীরা জানেন।
সারা বিশ্বের মানুষ কোনও না কোনও কুসংস্কারে বিশ্বাসী। কিন্তু এখানকার মানুষের মনে ভূত নিয়ে অদ্ভুত ধরনের বিশ্বাস
রয়েছে। এখানে অনেকেই ভূতের উপদ্রব এড়াতে বাড়িতে
আলাদা ঘর তৈরি করে দেন।
রাজপরিবারকে অপমান করা এদেশে অপরাধ
হিসেবে বিবেচিত হয়। এদেশের বাসিন্দাই হোক বা বিদেশি, রাজপরিবারকে
অসম্মান করলে শাস্তি পেতে হয়। এই নিয়ম সবার জন্য প্রযোজ্য। অন্য
দেশের পর্যটকরাও যদি এখানে রাজপরিবারকে অপমান করে বা সমালোচনা করে, তাহলে তাদের জেল হতে পারে।
থাইল্যান্ডবাসী কপালকে শরীরের সবচেয়ে পবিত্র অঙ্গ মনে করে। এখানে অন্য
ব্যক্তির কপাল স্পর্শ করা ভাল মনে করা হয় না। মানুষ এই কাজটি এড়িয়ে চলে।
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশই কখনও
না কখনও কারও না কারও দাসত্ব করেছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এমনই একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ যে ইউরোপের কোনও দেশের কখনও দাস হয়নি।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের নাম
একটি বিশেষ কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে রেকর্ড করা হয়েছে। আপনি হয়তো জানেন
না,
কিন্তু এই শহরের নাম বিশ্বের দীর্ঘতম। এর ইংরেজি নাম
ব্যাংকক। প্রকৃতপক্ষে এর পুরো নামটি সংস্কৃত এবং পালি ভাষার সমন্বয়ে গঠিত। নামটি
এত বড় যে আপনি এটি সঠিকভাবে উচ্চারণ পর্যন্ত করতে পারবেন না। ব্যাঙ্ককের পুরো নাম হল, “ক্রুং থেপ মহানাখন আমন রত্তনাকোসিন মহিন্থারা যুথায়া মহাতিলক ফপ নপফারট বুরিয়ম উদমরাটচানিওয়েত মহাসাথন আমন পিমান আওয়াতন সৎহিত শাক্যাত্থাত্তিয় উতসানুপ্রাসিত।”