সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারের মধ্যে দিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ কার্যত স্বীকারই করে নিলেন পরাধীন ভারতের শ্রেষ্ঠ রত্ন ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। না হলে কেন তিনি নথিকে মান্যতা দিতে বলবেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইহকু বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নেতাজির।
এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতাজির কন্যা সকল ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, "সকলের উদ্দেশ্যে আমার অনুরোধ নেতাজির চিতাভস্ম ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করুন আমাকে। এটা অত্যন্ত দুর্ভ্যজনক যে, স্বাধীন ভারত দেখার জন্য তিনি জীবিত ছিলেন না কিন্তু তাঁর চিতাভস্ম মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনা হলে তা অনন্ত একটা ভাল বিকল্প হতে পারে। ভারতের পুরুষ এবং মহিলা প্রত্যেকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি আমি এবং অনুরোধ করছি আপনারা এই বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করুন।"
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এএনআইকে আরও একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অনিতা। সেখানেও বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির প্রয়াণের তথ্যকে মান্যতা দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, "নেতাজি স্বাধীন ভারতে পা রাখতে পারেননি। আমি আশা করি, অন্তত তাঁর চিতাভস্ম তাঁর মাতৃভূমিতে ফেরানো হবে। নথি থেকে প্রমাণিত, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট বর্তমানের তাইওয়ানে এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আশা করব, তাঁর চিতাভস্ম নিয়ে আসা হবে।’’
উল্লেখ্য, নেতাজির মৃত্যু আদৌ কোনও বিমান দুর্ঘটনায় হয়েছিল কি না, তা বিরাট এক প্রশ্ন। কারণ এমন অগুণিত তথ্য সামনে এসেছে যেখান থেকে বোঝা যায় নেতাজি তাইহকু বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। বরং স্বাধীন ভারতে তাঁর ফিরে আসার প্রমাণ রয়েছে বেশ দৃঢ় ভাবে। যে 'গুমনামী বাবা'-কে ঘিরে সমস্ত রকম চর্চা চলে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে, সেই গুমনামী বাবার থেকে পাওয়া বিভিন্ন ছবি, চিঠি এবং বই থেকে বিশেষজ্ঞদের ধারণা সেই নামহীন সাধুই ছিলেন নেতাজি।
DVieVhT
Aug 09, 2023 01:55 [IST]BRipLWy
Jul 06, 2023 05:01 [IST]Alcorse
Jun 08, 2023 03:31 [IST]Alcorse
May 27, 2023 22:46 [IST]mooptew
Apr 25, 2023 00:36 [IST]