আপনি যদি
সফল বা ক্ষমতাবান হওয়ার পরে অহংকারী হয়ে যান, তবে মনে রাখা উচিৎ যে আপনার সর্বনাশ হতে বেশি সময়
লাগবে না। সাফল্যের চাবিকাঠি কেবল সেই ব্যক্তির দ্বারাই পাওয়া সম্ভব যিনি সফল
হওয়ার পরেও বিনয়ী থাকেন এবং অন্যদের সাহায্য করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। আজ
ভগবান হনুমান এবং ভীম সম্পর্কিত একটি গল্পের মাধ্যমে সেই শিক্ষা নেওয়া যাক।
‘বিগত দশ বছরে আমায় এলাকায় কম দেখা গিয়েছে’- ভোটের আগে নিজভূমে বেফাঁস দেব
দ্বাপর যুগে
পাণ্ডবরা যখন নির্বাসনে ছিলেন, তখন তাঁরা উত্তরে গন্ধমাদন পর্বতের
কাছে অবস্থান করেছিলেন। একদিন দ্রৌপদী ভীমকে সুগন্ধি ফুল আনতে বললেন। দ্রৌপদীর
ইচ্ছা পূরণের জন্য ভীম ফুল আনতে গেলেন। কিন্তু পথিমধ্যে ভীম একটি বৃদ্ধ বানরকে দেখতে
পেলেন। বৃদ্ধ বানরটি লেজটি সারা রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে বসেছিল।
নিজ শক্তি
নিয়ে অতীব অহংকারী ছিলেন ভীম। তাই বেশ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে দ্বিতীয় পাণ্ডব বৃদ্ধ বানরকে তাঁর লেজটি পথ থেকে সরিয়ে নিতে বললেন। বানরটি
ভীমকে বলল সে তার লেজ সরাবে না। ভীম প্রয়োজনে লেজ ডিঙিয়ে যান।
লোকসভা নির্বাচনে কটি আসন পাবে বিজেপি, জানাচ্ছে সমীক্ষা
অহংকারী ভীম
তা করতে অস্বীকৃত হল। বৃদ্ধ বানর এবার বলল তাহলে ভীম নিজে হাতেলেজ সরিয়ে দিন। শক্তিশালী
ভীম লেজ সরানোর চেষ্টা করলেন ঠিকিই, কিন্তু এক বিন্দুও নড়াতে পারলেন না। বৃকোদরের শরীরে
শত হাতির শক্তি থাকা সত্ত্বেও বারবার চেষ্টার পড়েও লেজ নড়ল না। তখন ভীম বুঝতে
পারলেন যে এটি কোনও সাধারণ বানর হতে পারে না। তৎক্ষণাৎ বানরের সামনে হাত জোর করে
দ্বিতীয় পান্ডব বানরের আসল পরিচয় ও স্বরূপ জানতে চাইলেন।
তখন বজরংবলী
হনুমান ভীমকে নিজের আসল রূপে দেখা দিলেন এবং বললেন, “তুমি লেজ সরাতে পারোনি কারণ শক্তির সঙ্গে নম্রতা থাকা
প্রয়োজন, অহংকার নয়। অহংকার পরিহার করলে প্রতিটি কাজে অবশ্যই সফলতা পাবে। একজন
অহংকারীর সর্বনাশ হতে বেশি সময় লাগে না।”