নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী থেকে শুরু করে
শিক্ষা দফতরের অনেকেরই। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বহু জলঘোলা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে
চলে মামালাও। অবশেষে সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ঘোষণা হয়েছে। আর
সেখানে বলা হয়, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল
হয়েছে। ভোটের আগেই একধাক্কায় চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। এর মধ্যেই আবার
এসএসসি-র চাকরির আরও দুর্নীতি প্রকাশ্যে।
সূত্রের খবর, অষ্টম দফার কাউন্সিলিং সম্পূর্ণটাই হয়েছিল প্যানেলের মেয়াদ
পেরিয়ে যাওয়ার পর। সেই সঙ্গে নাকী রাতের অন্ধাকারে মোবাইল ফোনে গিয়েছিল নিয়োগের এসএমএস।
সমস্ত ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা নিয়ে সকলের মনেই রয়েছে নানা প্রশ্ন। গতকালের রায়ের পর বিচারপতির
ডিভিশন বেঞ্চকে শুনানিতেই বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বাধ্য হচ্ছি।’ অর্থাৎ কোনও ভাবেই প্যানেলকে বাঁচানোর জায়গায় তাঁরা ছিলেন
না। সূত্রের খবর, গ্রুপ-ডি-তে ৩ হাজার ৮৮০ জনকে সুপারিশ করেছিল এসএসসি। তার মধ্যে ১৭৪১
জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ গ্রুপ ডি-র প্রায় ৪৫ শতাংশ চাকরিতেই দুর্নীতি
হয়েছে। তাই পুরোটাই দুর্নিতী সেই কারণে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল
মহলের।
এছাড়াও মামালার রায়দান করার আগে ডিভিশন বেঞ্চ বারবার রাজ্য সরকার ও এসএসসি-কে
জিজ্ঞাসা করেছিল কারা প্রকৃত চাকরিপ্রাপক, তার হিসাবটা দিতে। তবে এই হিসাব আদালতে জমা
দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। সেই কারণেই ২০১৬-র গোটা প্যানেল বাতিল করতে বাধ্য হন ডিভিশন
বেঞ্চ।