ভোট চলাকালীন প্রতিটি বুথের
ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখা উচিৎ কি? অবশেষে বুধবার দেশের সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রায়
দিতে চলেছে। তবে তার আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে চারটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছে
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
SSC Scam: মুড়ি মুড়কি কি এক? অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্য প্রার্থীদেরও চাকরি যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন
ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর সেই ভোট
সঠিক জায়গায় পড়ল কি না তা দেখিয়ে দেয় ভিভিপ্যাট। ভোট দেওয়ার সাত সেকেন্ডের মধ্যে
একটি কাগজ প্রার্থীর নাম প্রতীক সহ বেরিয়ে আসে মেশিন থেকে। তবে সেই কাগজ
প্রার্থীদের হাতে যায় না। জমা হয় একটি পাত্রে। এতদিন নিয়ম ছিল, প্রতিটি এলাকা থেকে যেকোনও পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে
সেখানে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসাব মিলিয়ে দেখার। কিন্তু বিরোধীদের
দাবি ছিল, প্রতিটি বুথেই এই কাগজ এবং
ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হচ্ছে
কিনা।
Mamata Banerjee: 'জেলে পাঠালেও চাকরিহারাদের পাশে আছি'- রায়গঞ্জ থেকে আশ্বাস মমতার
এর উত্তরে নির্বাচন কমিশন আবার
জানায় এই প্রক্রিয়া চালু হলে আবার ব্যালট বক্সের জমানায় ফিরে যেতে হবে। বছর খানেক
ধরেই এই মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করবে
সুপ্রিম কোর্ট।
নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপ্রিম
কোর্ট মোট চারটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছে—
১. সমস্ত ভিভিপ্যাটেই কি
মাইক্রোকন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে?
২. এই মাইক্রো কন্ট্রোলারকে কি
এক বারই প্রোগ্রাম করা যায়?
৩. নির্বাচন কমিশনের কাছে কতগুলি
সিম্বল লোডিং ইউনিট রয়েছে?
৪. নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার
সময় ৩০ দিন। আর সমস্ত রেকর্ড ৪৫ দিন পর্যন্ত মজুত করা থাকে। এই ভ্রম সংশোধন করা দরকার।
বুধবার
রায় ঘোষণা করবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর
দত্তের বেঞ্চ।