দেবী লক্ষ্মীকে বলা হয় সম্পদের দেবী। যদিও বিভিন্ন পুরাণে লক্ষ্মীর বিভিন্ন
রূপের কথা বলা হয়েছে। কোথাও তিনি কার্তিকের স্ত্রী, কোথাও বা গণেশ পত্নী। আমাদের এই
নিবন্ধের মূল বিষয় হল দেবী লক্ষ্মী কি সত্যিই ধন-সম্পদের দেবী?
আদি বৈদিক যুগে লক্ষ্মী কিন্তু মোটেই শস্য বা ধনসম্পদের দেবী ছিলেন না।
সে দফতর ছিল দেবী সরস্বতীর। যিনি তখন বিদ্যার দেবী নন, বরং নদীরূপে এ ধরিত্রীকে শস্যশ্যামলা
করে রাখতেন। সে সময় নদীর জমা পলিতেই উর্বর হয়ে উঠত মাটি। ফলে সম্পদের দেবীরূপে সরস্বতীর
কদরই ছিল আলাদা।
Kojagari Lakshmi Puja 2023: আর্থিক অনটন থেকে মুক্তি পেতে চান, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন করুন এই কাজ
Durga Puja 2023: বিজয়া দশমীতে অক্ষরধাম মন্দিরে ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হল বিশ্বশান্তি যজ্ঞ
এবার কালক্রমে নিম্নবর্গের কাছে চাষাবাদ শিখল বৈদিক আর্যরা। তাতে আসতে লাগল
অর্থ। তখন থেকে নারায়ণীর আগমনের সূচনা। এই বিষয়ে সমুদ্র মন্থনের আখ্যানটিও বিশেষ ভূমিকা
রেখেছিল। সমুদ্রগর্ভ অর্থাৎ পাতাল ফুঁড়ে মহালক্ষ্মী উঠেছিলেন। সে হেতুই মনে করা হল,
তিনি ভূদেবী। এই পৃথিবীর সকল শস্য সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী।
ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও ব্রহ্মা পুরাণ অনুযায়ী, ঋষি ভৃগুর স্ত্রী খ্যাতির
গর্ভে লক্ষ্মীর জন্ম। অন্যদিকে, শতপথ ব্রাহ্মণে ব্রহ্মা থেকে লক্ষ্মীর উৎপত্তির উল্লেখ
পাওয়া যায়।