আচার্য চাণক্যকে ভারতের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের মধ্যে একজন বলে
গণ্য করা হয়। চাণক্য নীতিতে তিনি অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। শ্লোকের
মাধ্যমে মানব কল্যাণের জন্য নিজের চিন্তাধারা উপস্থাপন করেছিলেন এই মহামানব।
চাণক্যের নীতি সফলতা পাওয়ার জন্য একটি শিক্ষণ বলে মনে করা হয়।
আচার্য চাণক্য বলেছেন কোনও ব্যক্তির অতিরিক্ত সরলতাও তার বিপদের
কারণ হয়ে উঠতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ কৌটিল্য বলেছেন যে
জঙ্গলে প্রথমে সোজা গাছ কাটা হয়, কারণ আঁকাবাঁকা গাছের তুলনায় সোজা গাছ কাটতে খুব বেশি
পরিশ্রম করতে হয় না। সরল ব্যক্তির সরলতার সুযোগ সবাই নেয়। তাই কলিযুগে
অবশ্যই চালাক চতুর হওয়া দরকার।
আপনি যদি আপনার ভবিষ্যৎ উন্নত করতে চান, তাহলে আপনাকে
অবশ্যই সঠিক সময়, সঠিক
বন্ধু, সঠিক
স্থান, অর্থ
উপার্জনের সঠিক উপায়,
অর্থ ব্যয় করার সঠিক উপায় এবং আপনার শক্তির উৎসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এগুলি
ঠিক থাকলে আপনি প্রতিটি পদক্ষেপে সাফল্য পাবেন।
যে ব্যক্তি সবকিছু পাওয়ার জন্য লোভ করে সে সঠিকটি ত্যাগ করে।
সে সঠিককে ত্যাগ করে অনিশ্চিত অর্থাৎ ভুলের আশ্রয় নেয়, ফলে তার
অধিকারও নষ্ট হয়ে যায়। সেইজন্য আপনি যখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন, সঠিক ও ভুল
যাচাই করে নিন।
চাণক্য বলেছেন যে মানুষ কর্ম ও গুণ দ্বারা শ্রেষ্ঠ প্রমাণিত
হয়। একজন বিদ্বান ব্যক্তি দরিদ্র হতে পারেন, কিন্তু ধনীদের মধ্যে তিনি সম্মানিত
হন। টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ
ও পদের দ্বারা মানুষ বড় হয় না। রাজপ্রাসাদের চূড়ায় বসে থাকা কাক
যেমন ঈগল হয় না, এটাও ঠিক তেমনই।