রাত পোহালেই দেশ জুড়ে পালিত হবে রাম নবমী উৎসব। সেই উপলক্ষে হাওড়ায় পুরনো রুটেই
মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তার জন্য আরোপিত হয়েছে একাধিক শর্ত। সেই সঙ্গে উঠে আসছে আরও কিছু প্রশ্ন।
নবরাত্রির ফল পেতে চাইলে অষ্টমীর দিন ভুল করেও এই কাজগুলি করবেন না
হাওড়ায়
বিশ্বহিন্দু পরিষদের রামনবমীর অনুমতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ২০০
জনের বেশি মানুষ মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। পাশাপাশি আদালতের তরফ থেকে এও
বলা হয়েছে যে, প্রতিটি মানুষের নিজের মত বা ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী অনুষ্ঠান
করার ও তাতে যোগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে ৷ তাদের সেই কাজে বাধা দেওয়া অনুচিত। যদি
খুব সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মিছিল করতে হবে।
সোমবার
মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রাম নবমীর মিছিলে নিরাপত্তা
দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বাহিনী তাদের কাছে নেই। তাছাড়া গতবার ওই মিছিলকে কেন্দ্র
করে অশান্তি হয়েছিল। তার NIA তদন্ত চলছে। NIA ১১
জনকে গ্রেফতার করেছে। এবছর একই পথে মিছিল হলে ফের অশান্তি হতে পারে। এই বক্তব্যের
পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘২০০ লোকের শোভাযাত্রা যদি
পুলিশ সামাল দিতে না পারে তাহলে কিছু বলার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভিড়
সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে।’
অঞ্জনিপুত্র সেনার তরফে সুরেন্দ্র বর্মা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টে আমাদের মামলার শুনানি ছিল। আদালত জানিয়েছে ১৭ তারিখ
ও ২১ তারিখ শোভাযাত্রা করতে পারবে। আমরা ২১ তারিখ শোভাযাত্রা করব। রবিবার।
প্রশাসন আদালতে বলে, একদিনে তারা দু’টো শোভাযাত্রা মেনটেন করতে পারবে না। আদালতই বলেছে তাহলে দু’দিন করে দিন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে রবিবার চেয়ে নিই। অবনী মল থেকে হাওড়া
ময়দান অবধি আমাদের শোভাযাত্রা যাবে। ২০০ জন অঞ্জনিপুত্র সেনার সদস্য এই
শোভাযাত্রা করবেন। বাইরের লোক থাকবেন না। এ নিয়ে আমরা জিটি রোড দিয়ে যেতে পারি।”
আদালত অনুমতি দিল, পুলিশ গতবারও ছিল, এবারও থাকবে। কিন্তু তারপরেও কিছু প্রশ্ন
থেকেই যাচ্ছে। আদালত
অনুমতি দিলেও পুলিশের ভূমিকা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন সঠিক দায়িত্ব না
পালন করলে আবারও রামনবমীতে ঘটতে পারে রক্তপাত। তবে সেই সঙ্গে এও ঠিক, নিশ্চিতভাবেই
প্রশাসন চাইবে না ভোটের আবহে রামনবমী ঘিরে কোনও তিক্ত ঘটনা ঘটুক যা প্রভাব ফেলতে
পারে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এমনিও এ পর্যন্ত যতবারই হাওড়া চত্বরে রামভক্তরা মিছিল করেছেন, বারবার তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। এবারও কি তাই হবে? ২০২৩ সালে পুলিশ যে ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায় ছিল, রাজ্য প্রশাসন যে জেগে ঘুমিয়েছিল এবার কি তেমন চিত্র সত্যিই দেখা যাবেনা? উত্তর
খুঁজতে অপেক্ষা করতে হবে ১৭ তারিখ পর্যন্ত।