লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর
থেকেই শিরোনামে অভিনেত্রী-নেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত সময়ে তিনি পরিণত
হয়েছেন হাসির খোরাকে, পর্দার ‘দিদি নম্বর ১’কে নিয়ে তৈরি হয়েছে একের পর এক মিম।
এতদিন প্রচারে বেরিয়ে তাঁর বলা বিবিধ কথা নিয়ে মিম তৈরি হচ্ছিল, এখন অবশ্য তা আরও
এক কদম এগিয়ে গিয়েছে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরীরীভাষা নিয়ে সমাজমাধ্যমে মিমের ছড়াছড়ি। বিশেষত নায়িকার
হাসি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ভিডিও। সেগুলি সম্পর্কে অবশ্য তিনি অবহিত।
SSC Scam: একের পর এক পন্থায় হয়েছে দুর্নীতি, এসএসসি কান্ড সত্যিই লজ্জাজনক
প্রচারে বেরিয়ে এ নিয়ে মুখ
খুললেন রচনা। মঙ্গলবার মগরার খেজুরিয়ায় ভোটপ্রচারের ফাঁকে রচনার মন্তব্য, ''আগে হাসিটা ছিল দারুণ। এখন হাসিটা শুনে
লোকে বলে পাগল!'' তবে এ নিয়ে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। এই
যে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত মিম, ভিডিও হচ্ছে এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া
থেকে অনেকের উপার্জন হচ্ছে। অভিনেত্রী তথা লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী তাই
বিষয়টিকে সদর্থক ভঙ্গিতেই দেখছেন।
SSC Scam: মুড়ি মুড়কি কি এক? অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্য প্রার্থীদেরও চাকরি যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন
রচনার বক্তব্য, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ছাড়ে না। আর আমি
তো নগন্য। আমি ভীষণ পজিটিভ
মাইন্ডের।আমি মিম করাকেও পজিটিভভাবে দেখি। নেগেটিভ কিছু
দেখিই না। কারণ, যাঁরা এই ধরনের মিম করেন,
তাঁদেরও লাইক-সাবস্ক্রাইবার ইত্যাদি দরকার। এটা তাঁদের রুজি রোজগার। তাই তাঁদের আমি সাপোর্ট করি।''
প্রচারে
বেরিয়ে কখনও কলকারখানার ধোঁয়া দেখে হুগলির শিল্পের পরিবেশ নিয়ে মন্তব্য করেছেন
রচনা। কখনও দই খেয়ে সিঙ্গুরের গরুর প্রশংসা করেছেন। কখনও স্থানীয়দের হাতে তৈরি গরম
ঘুগনি খেয়ে তারিফ করে এমন হাসি হেসেছেন যে, নিমেষে তা ভাইরাল। আবার কখনও
আলুপোস্ত খেয়ে এমন বাহবা দিয়েছেন যে তা মিম হতে বেশি সময় লাগেনি। সেই মিম ভিডিও
এবং পোস্ট নিয়ে রচনার অনুভূতি, ''আমি যা বলি, তাই মিম হয়ে যায়।''