তীব্র গরমে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন বহু
মানুষ। শুধু গরমই নয়, সেই সঙ্গে চলছে
তাপপ্রবাহ। যার জেরে প্রাণ ওষ্ঠাগত রাজ্যবাসীর। কিন্তু এই গ্রীষ্মের গন-গনে তাপকেও
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন হাওড়া সাঁকরাইলের প্রভাস বর। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় যেখানে
প্রায় প্রত্যেকেই একটু ছায়া খুঁজছেন, সেই আবহে গঙ্গাদূষণ রোধের বার্তা দিতে খালি পায়ে বেরিয়ে পড়লেন এই যুবক। পায়ে
হেঁটেই দু’হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন
প্রভাস।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং হলেও নো টেনশন! বাজারে এসে গিয়েছে রিচার্জেবেল LED বাল্ব, জেনে নিন বিস্তারিত
হাওড়া সাঁকরাইলের বাসিন্দা প্রভাস।
সব্জি বাজারে কাজ করেই সংসার চালান তিনি। প্রভাস একাই নন, রয়েছে তাঁর তিন ভাই-বোন। এছাড়াও রয়েছেন তাঁর বাবা-মা।
রোজগারের টাকা দিয়ে সংসারের অভাব পুরোপুরি মেটে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংকল্প করে
বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন প্রভাস। তাঁর
গন্তব্য কেদারনাথ মন্দির। দুই হাজার কিমি পথ অতিক্রম করার জন্য প্রতিবেশিদের থেকে
কিছুটা আর্থিক(২৫ হাজার টাকা) সাহায্য পেয়েছেন তিনি। তা দিয়েই চালাবেন।
রাস্তা-ঘাটে বিশ্রাম নেবেন মন্দির বা আশ্রমে। গঙ্গার পাশ দিয়ে হেঁটে চারটি রাজ্য
অতিক্রম করবেন প্রভাস। পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ অতিক্রম করে উত্তরাখণ্ড পৌঁছবেন তিনি। সেখানে
কেদারনাথ মন্দিরে গিয়ে মহাদেবের বিগ্রহে জল ঢালবেন এই যুবক। সেই কারণে গঙ্গা থেকে
জলও নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর এই ৬টি দেশে কখনও রাত্রি আসে না, দিন-রাত সেখানে সূর্যালোকের বিচরণ
এই গরমের মধ্যেও নিজের দিকে বিশেষ
নজর দেননি প্রভাস। শরীর ঢাকতে নামাবলী আর গেরুয়া ধুতি, পিঠে মাঝারি সাইজের একটি ব্যাগ এবং হাতে দেশের পতাকা, এই তাঁর ‘সাজ’। আগষ্ট মাসে কেদারনাথ পৌঁছতে চান প্রভাস। প্রত্যেকদিন ১৫
কিলোমিটার করে হাঁটার চেষ্টা করবেন তিনি। এই নিয়ে প্রভাস বলেছেন, “১০০ দিনের মধ্যে কেদারনাথ পৌঁছনোর আশায় আছি। ১৫ আগস্ট
পৌঁছতে পারলে সবচেয়ে বেশি খুশি হব। হাওড়া থেকে জল নিয়েছি। কেদারনাথে এই জল
বিগ্রহের মাথায় ঢালব আর প্রার্থনা করব।”