কথা দিয়ে কথা রেখেছেন নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ বহু বছর
পর অযোধ্যায় উদ্বোধন হল প্রতীক্ষিত রাম মন্দির। প্রধানমন্ত্রীর
হাতেই প্রাণ সঞ্চারিত হল রামলালার। আর তারপরই ১১ দিনের কঠিন উপবাস ভাঙেন তিনি।
সোমবার আচার্য গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজের হাত থেকে চরণামৃত সেবন করে উপবাস ভাঙেন।
১১ দিন ধরে তাঁর এই কঠিন সংযম পালনের
জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী
প্রশংসা করেন আচার্য গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজ। তিনি নির্মোহী আখড়ার একজন সন্ত।
এদিন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর রাম মন্দির প্রদক্ষিণ করে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অযোধ্যায় অবস্থিত হনুমানগড়ী, রামলালার দর্শন চাইলে আগে এখানে যান
রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে ‘তপস্যা’ শুরু করেন নরেন্দ্র
মোদি। গত ১২ জানুয়ারি তিনি নিজের ইউটিউব
চ্যানেলে একটি অডিয়ো বার্তার মাধ্যমে নিজের এই কঠোর সংকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, অন্তরে আধ্যাত্মিক
চেতনার উন্মেষ ঘটাতে ঋষি-মুণিদের দেখানো পথ অনুসরণ করবেন। সেইমতো একাধিক নিয়ম পালন
করতে শুরু করেন।
গত ১১ দিন ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী
মাটিতে কম্বল পেতে শুচ্ছিলেন। সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উপবাস শুরু করেছিলেন।
সূত্রের খবর, তিনি ১১ দিন ধরে কেবলমাত্র ডাবের জল
খেয়েছিলেন। জলস্পর্শ করেননি। দিনের মধ্যে অধিকাংশ সময় রামনাম জপ করছিলেন। ধ্যানে
মগ্ন ছিলেন তিনি। বেশ কিছুটা সময় মৌনব্রতও পালন করেছিলেন। ধর্মীয় পুঁথি পড়া, ঘরে সাফাই করা এবং নিজের সমস্ত গৃহস্থালির কাজ নিজেই করেছিলেন মোদি।
'অযোধ্যায় ত্রেতা যুগ নেমে এসেছে'- রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর ঘোষণা যোগী আদিত্যনাথের
নরেন্দ্র মোদির খাদ্যতালিকাতে বিশাল বদল এসেছিল। সারাদিনে অল্প এবং
সাত্ত্বিক খাবার খেয়েছিলেন। ভগবানের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য ১১ দিন দেশের একাধিক
ধর্মীয় মন্দির এবং রামচন্দ্রের সঙ্গে জড়িত একাধিক স্থান দর্শন করেন তিনি। এ
ছাড়াও তাঁকে গোরুর পুজো এবং তাদের খাওয়াতে দেখা গিয়েছে। ন্যাতা নিয়ে মন্দিরের
উঠোন পরিষ্কার করতেও দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।