আগামী ১৫ জানুয়ারি পৌষ সংক্রান্তি। ওই দিন হবে গঙ্গাসাগর
স্নান। ইতিমধ্যেই পুণ্যার্থীরা যেতে শুরু করেছেন সাগরে। এবার রাজ্য সহ গোটা দেশ
থেকে কয়েক লাখ মানুষ আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে
একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিল রাজ্যের পরিবহণ দফতর।
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে
জানিয়েছেন, হাওড়া
শিয়ালদহ বা কলকাতার পয়েন্টে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে যাতে সুষ্ঠুভাবে গঙ্গাসাগর
মেলা প্রাঙ্গনে যাতে পুণ্যার্থীরা পৌঁছতে পারে সেজন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে
প্রায় আড়াই হাজার বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম
ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত দুইটি টুরিস্ট বাস এর বন্দোবস্ত রাখা
হয়েছে।
হাওড়া স্টেশন বাবুঘাট ধর্মতলায় বিশেষ কাউন্টারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এই
সমস্ত কাউন্টার থেকে সরাসরি কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগরে পৌছানোর টিকিট পাওয়া যাবে । ১১
জানুয়ারি থেকেই রাজ্য পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে সার্ভিস চালু করে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই সুবিধা বজায় থাকবে। নামখানা পয়েন্ট থেকে ৩২ টি সরকারি
ভেসেল দেওয়া হচ্ছে। থাকছে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ৭০ খানা প্রাইভেট ভেসেল।
আউট্রাম ঘাট ও কালীঘাট থেকে দশটি টুরিস্ট বাসের ব্যবস্থা তো রাখা হচ্ছেই, আউট্রাম ঘাটে একটি প্রিপেইড ট্যাক্সি বুথ করা হচ্ছে।
হঠাত্ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ হঠাৎ যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে
হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাঁকে সরাসরি কলকাতার প্রথম শ্রেণির হাসপাতালে নিয়ে আসা
সম্ভব হবে। পুণ্যার্থীরা যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন সেই জন্যে বিশেষ
কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।