হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে প্রায় ছাব্বিশ হাজার
শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীর। মুড়ি মুড়কির মতো মিশে গিয়েছে যোগ্য অযোগ্য সকলে।
বর্ধমানের জনসভা থেকে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিলেন আইনি সহায়তার আশ্বাস।
একইসঙ্গে তৃণমূলের দুর্নীতি ইস্যুতে এদিন মঞ্চ থেকে তুলোধনা করেছেন নমো।
CV Ananda Bose: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, হেয়ার স্ট্রিট থানায় নির্যাতিতা
SSC-তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। ২০১৬ সালের SSC-র সমস্ত নিয়োগই, অবৈধ বলে জানিয়ে দেয় বিচারপতি
দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। বাতিল করে দেওয়া হয় পুরো
প্যানেল। চাকরিহারাদের এই তালিকায় রয়েছেন যোগ্যরা। এদিন নির্বাচনী সভা থেকে তাঁদের
কথাই উঠে এল নরেন্দ্র মোদির ভাষণে।
Satyajit Ray: পাহাড়প্রমাণ সমস্যা পেরিয়ে সত্যজিৎ রায় করেছিলেন তাঁর প্রথম ছবির শুটিং
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "চাকরি নিয়ে
দুর্নীতি হয়েছে, তাতে যে যোগ্যরা চাকরি হারিয়েছে তাঁরা কী
সমস্যায় আছেন তা বুঝতে পারছি। এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক নির্দোষ লোকও আছে।
যাঁরা সত্যি শিক্ষকের এই চাকরির অধিকারী। বাকিদের পাপের কারণে নির্দোষরাও সমস্যায়
পড়েছেন। চাকরি হারানো যে শিক্ষকদের নথি ঠিক আছে, লিগাল সেল
গড়ে তাঁদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি। তৈরি করা হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও।
তাতে উপকার পাবেন সংশ্লিষ্টরা। যাঁরা সৎ, যাঁদের ডিগ্রি ঠিক
আছে, তাঁদের সহায়তা দেবে বিজেপি। ন্যায় বিচারের জন্য তাঁদের
পাশে থাকবে বিজেপি।''
হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের
দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার, SSC ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিন বর্ধমানের
সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের
প্রত্যেকটি প্রকল্পের টাকা নিয়ে তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের তোলাবাজরা
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে লাখ লাখ যুবককে প্রতারিত করেছে।
টাকা গুনতে গুনতে মেশিন ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। এদের কেউ মানুষও চেনেন।''