বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই
বিতর্ক চলছে। সেই বিষয়কে পুনরায় উস্কে দিয়েছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য়
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কটাক্ষের পর এ দিন আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি৷ মমতা
বললেন, “প্রতিষ্ঠানের পরিচয় থেকে যে ফলক
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম মুছে দিতে চেষ্টা করছে, দয়া করে
সেই ফলক সরিয়ে দিন৷ দয়া করে সন্মান ও মানবিকতা দেখান৷”
এই জিনিসগুলি আবর্জনার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখলেও তুলে ফেলুন
মূল অভিযোগ কী নিয়ে? অভিযোগ, শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো যে
স্বীকৃতি দিয়েছে, উপাচার্য তার কৃতিত্ব নিজেই নিতে চাইছেন৷
সেই অভিযোগের অংশ হিসাবে বলা হয়েছে, শান্তিনিকেতনে
শ্বেতপাথরের ফলক স্থাপন করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে এটি তকমা পাওয়ার পর৷ তাতে বিশ্বভারতীর আচার্য, প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির নাম রয়েছে আর রয়েছে উপাচার্যের নাম৷ কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
নাম নেই৷ আর এই কারণেই তৈরি হয়েছে জল্পনা ও নানা রকম প্রতিবাদ।
নভেম্বরেই আসতে চলেছে অর্থনীতিতে বড় নিয়ম, না জানলেই বিপদ
মমতা এদিন বার্তা দিয়ে বলেছেন, “একদা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্থান বিশ্বভারতীতে স্পষ্ট
ও উদ্ধত আত্মকেন্দ্রীক নিজস্ব মহিমা তুলে ধরার কাজ চলছেই৷ ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করেছে, কিন্তু স্থানীয় একজন স্মৃতি ফলকে দেওয়া নিজের নামের উদযাপন করেই চলেছেন৷
প্রতিষ্ঠানের পরিচয় থেকে যে ফলক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম মুছে দিতে চেষ্টা করছে,
ভগবানের জন্য, দয়া করে সেই ফলক সরিয়ে দিন৷
দয়া করে সন্মান ও মানবিকতা দেখান৷ দিল্লির উচিৎ এই বিষয়টি
দ্রুত শুধরে ফেলা৷”