লোকসভা ভোটের আগে বড় খবর। খারিজ হয়ে গেল মহুয়া মৈত্রর সাংসদ
পদ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার। তারপরই বেলা
১২টার দিকে লোকসভায় রিপোর্ট পেশ করে
এথিক্স কমিটি।
১৫ অক্টোবর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ জানিয়েছিলেন
যে ঘুষ এবং উপহারের বিনিময়ে প্রশ্ন তুলছেন মহুয়া মৈত্র। তিনি এথিক্স কমিটিকে
অনুরোধ করেন এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার। এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় জমা পড়ার
পর তুমুল শোরগোল শুরু হয়। হইচইয়ের মাঝে সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
এরপর মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করে এথিক্স
কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্টে সে কথাই বলা হয়েছিল। রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে কড়া
পদক্ষেপের সুপারিশ করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। তাদের বক্তব্য, মহুয়া যে অবৈধ
ভাবে টাকা নিয়েছেন, তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। সেটি অস্বীকার করার জায়গাই নেই। সাংসদ
হিসাবে তাঁর আচরণ অনৈতিক। সেই কারণে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা উচিত বলে মনে
করে এথিক্স কমিটি। পাশাপাশি তিনি যে অপরাধ করেছেন, সরকারের তরফে তার
আইনি তদন্তও করা দরকার।
মহুয়া মৈত্রকে এদিন কার্যত কিছু বলার সুযোগই দেননি স্পিকার
ওম বিড়লা। তিনি জানান, মহুয়া আগে নিজের বক্তব্য জানানোর
সুযোগ পেয়েছিলেন। তাই আবার তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে না। পুরনো উদাহরণ টেনে এই যুক্তি
দিয়েছেন স্পিকার। মহুয়া বলার জন্য একাধিক বার উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে
বসিয়ে দেওয়া হয়।
শেষ পর্যন্ত মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হল। স্পিকার এ
বিষয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ করান লোকসভায়।