পৃথিবীতে
যখনই সংকট দেখা দিয়েছে এবং অধর্মের বিস্তার ঘটেছে, তখনই ভগবান বিষ্ণু ধরাধামে
অবতীর্ণ হয়ে ধর্মকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। হিন্দু ধর্মগ্রন্থে ভগবান বিষ্ণুর ২৪ টি
অবতারের বর্ণনা করা রয়েছে।
কথিত
আছে যে এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৩টি অবতার পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছে এবং ২৪ তম অবতার
এখনও 'কল্কি অবতার' রূপে সংঘটিত হয়নি। আপনি কি জানেন ভগবান
বিষ্ণুর এই সমস্ত অবতারের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবতার কোনটি ছিল?
Rabindranath Tagore: রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছাতেই ভবতারিনী হয়ে ওঠেন মৃণালিনী, স্বামীই শ্রেষ্ঠ তাই জীবনে কলম ধরেননি রবিপত্নী
মৎস্য:
মৎস্য অবতারকে
ভগবান বিষ্ণুর প্রথম অবতার বলা হয়। এক অসুর যখন সমুদ্রের গভীরে বেদ লুকিয়ে
রেখেছিল, তখন ভগবান বিষ্ণু মাছের অবতারে আবির্ভূত হয়ে বেদ খুঁজে বের করেন।
কূর্ম:
সমুদ্র মন্থনের সময় যখন মন্দার পর্বত সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিল, তখন শ্রী হরি কূর্ম অবতার
নিয়ে মন্দার পর্বতকে নিজের পিঠে ধারণ ধরেছিলেন। এর মাধ্যমে সমুদ্র মন্থন সম্পন্ন
করা সম্ভব হয়।
বরাহ: যখন হিরণ্যশিপুর ভাই
হিরণ্যক্ষ পৃথিবী অপহরণ করে সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে রেখেছিলেন, তখন
শ্রী হরি বরাহ অর্থাৎ শূকর রূপে অবতীর্ণ হয়ে হিরণ্যক্ষকে বধ করে পৃথিবীকে মুক্ত
করেন।
নৃসিংহ: পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, শ্রী
হরির সকল অবতারের মধ্যে নৃসিংহ অবতারকে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। নৃসিংহ
অবতারে অর্ধসিংহ এবং অর্ধ মানব রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন বিষ্ণু। তিনি ভক্ত
প্রহ্লাদের জীবন রক্ষা করেন এবং তার পিতা অত্যাচারী অসুর সম্রাট হিরণ্যকশ্যপকে
হত্যা করেছিলেন। কিন্তু হিরণ্যকশ্যপকে হত্যা করার পরেও বিষ্ণুর রাগ প্রশমিত হয়নি।
তখন শিব শরভ অবতার গ্রহণ করে তাঁর ক্রোধ শান্ত করেন।
Lok Sabha Election 2024: ‘এই বছরটি গণতন্ত্রের উদযাপনের মতো’- ভোট দিয়ে বললেন মোদি
বামন: ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে
পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং প্রহ্লাদের পৌত্র রাজা বলির কাছে দান হিসেবে তিন পাদ জমি
চেয়েছিলেন। এই পাদ জমি ছিল স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল।
পরশুরাম: ক্ষত্রিয়দের অহং থেকে বিশ্বকে
বাঁচাতে ভগবান বিষ্ণু পরশুরাম রূপে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। পরশুরাম চিরঞ্জীবী।
রাম: ভগবান বিষ্ণু ত্রেতাযুগে
শ্রী রাম অবতারে জন্ম গ্রহণ করে রাবণের অত্যাচার ও পাপ থেকে বিশ্বকে মুক্ত করেন।
কৃষ্ণ: দ্বাপর যুগে কৃষ্ণের অবতার
গ্রহণ করে তিনি অধর্মের অবসান ঘটিয়ে ধর্ম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। মহাভারতের যুদ্ধে
শ্রীকৃষ্ণের বিরাট ভূমিকা ছিল। এই যুদ্ধে তিনি ছিলেন অর্জুনের সারথি।
বুদ্ধ: মহাত্মা গৌতম বুদ্ধও ভগবান
বিষ্ণুর অন্যতম অবতার। তাঁর নাম সিদ্ধার্থ। বুদ্ধদেবকে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কল্কি:
কলিযুগের শেষে শ্রী
হরির শেষ অবতার কল্কি রূপে আসবেন। তিনি অধার্মিকদের ধ্বংস করে ধার্মিকতাকে আবার
প্রতিষ্ঠা করবেন। তারপর পুনরায় শুরু হবে সত্যযুগ।