পাকিস্তানের কটাসরাজ মন্দিরে মহা
সমারোহে পালিত হয় মহাশিবরাত্রি। পাকিস্তানে মহা শিবরাত্রি এ যেন ভাবাই যায় না!
সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের নির্যাতন করে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করার দীর্ঘ
ইতিহাস রয়েছে পাকিস্তানের। এতদসত্ত্বেও হাজার হাজার হিন্দু কোনও না কোনওভাবে
তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষা করে চলেছে।
এই মন্দিরটি পাণ্ডব যুগের মন্দির, তাঁরাই নাকি তৈরি করেছিলেন। পুকুরে যক্ষের সঙ্গে পাণ্ডবদের
কথোপকথন হয়েছিল বলে শোনা যায়। এটাও বলা হয় যে কটাসরাজ মন্দির চত্বরে নির্মিত
সাতটি মন্দিরই দ্বাপর যুগে পাণ্ডবদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মন্দির চত্বরে একটি
কুণ্ড এবং অনেক ছোট-বড় মন্দির রয়েছে। কথিত আছে পাণ্ডবরা তাঁদের নির্বাসনের চার
বছর এখানে কাটিয়েছিলেন।
এই মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত সবচেয়ে
জনপ্রিয় বিশ্বাস হল যে যখন ভগবান শঙ্করের স্ত্রী সতী তার পিতা দক্ষের যজ্ঞকুণ্ডে
আত্মহনন করেছিলেন, তখন শিব
স্ত্রীবিরহে অশ্রুপাত করেছিলেন। শিবের অশ্রু থেকে দুটি কুণ্ড তৈরি হয়েছিল, যার মধ্যে একটি কুণ্ডের নাম কটাক্ষ কুণ্ড। এই কটাক্ষ কুণ্ড
এবং সেই স্থানে নির্মিত শিব মন্দির এখন পাকিস্তানে। কথিত আছে, এই পুকুরের পাড়ে প্রশ্নোত্তর আকারে যুধিষ্ঠির ও যক্ষের
মধ্যে কথোপকথন হয়েছিল। যেটিতে ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির একাই যক্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
হন।
ধর্মীয় তীর্থস্থান পরিদর্শনের
ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭৪ সালের দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকলের অধীনে
হিন্দু তীর্থযাত্রীরা বিশেষ বিশেষ সময়ে শ্রী কটাসরাজ মন্দিরে যেতে পারেন।