অতি প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীযতে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ মাহাত্ম্য বর্তমান। বাস্তুমতে, যে কোনও জিনিস সঠিক অবস্থানে সঠিকভাবে রাখা খুবই প্রয়োজন। নাহলে অজান্তেই বহু নেতিবাচক শক্তি আমাদের
সংসারে প্রবেশ করে।
আমরা অনেকসময়ই বাড়িতে এমন কিছু
জিনিস রেখে দিই, যা আদতে ঘরে রাখা অশুভ। অথচ, কোনও এক অজ্ঞাত মায়ায় সেগুলো আমরা কিছুতেই বাড়ির বাইরে
বের করতে পারি না। যার ফল হয় মারাত্মক এবং নেতিবাচক। উন্নাওয়ের জ্যোতিষী পণ্ডিত
ঋষিকান্ত মিশ্র শাস্ত্রী আমাদের জানালেন, বাড়িতে কোন কোন জিনিস রাখলে লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে যেতে পারে।
ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে এমন বিশ্বাস
করা হয়,
কোনও দেবতার ভাঙা মূর্তি বাড়িতে রাখা কখনওই উচিৎ নয়। এছাড়া, ভাঙা মূর্তি পুজো করাও ঠিক নয়। এতে ঘরে নিজে থেকে দুর্ভাগ্য ডেকে আনা হয়।
পরিবারের সম্পদ কমে। কোনও মূর্তি ভেঙে গেলে সেগুলিকে নদীতে বিসর্জন দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে থমকে যাওয়া ঘড়ি রাখা বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে
চূড়ান্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। আপনার বাড়িতে বন্ধ ঘড়ি থাকলে অবিলম্বে তা সরিয়ে
ফেলুন। এই ধরনের জিনিস জীবনে বহু বাধার সৃষ্টি করে। সংসারে কলহ বাড়ে।
ভাঙা বাসন ঘরে রাখাও অশুভ। আপনার
বাড়িতে যদি ভাঙা কাপ, ফাটা স্টিলের বাসন
থাকে,
কোনও কিছু না ভেবে অবিলম্বে তা ফেলে দিন।
ঘরে রাখা ভাঙা আসবাব খারাপ প্রভাব
ফেলে। যদি চান, আপনার সংসারে মা লক্ষ্মী সর্বদা বাস
করেন,
তাহলে অবশ্যই বাড়ি থেকে ভাঙা আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলুন।
ভাঙা কাচের জিনিস বাড়িতে নেতিবাচক
শক্তি নিয়ে আসে। সুখ ও অর্থেরও ক্ষতি হয়। তাই ভাঙা কাচ বা আয়না কখনওই বাড়িতে
রাখা উচিৎ নয়। বাড়ি পরিষ্কার করার সময় ভাঙা আয়না
পেলে অবশ্যই তা ফেলে দিন।