গত দুই বছর ধরে চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প বাংলার মহিলাদের সাহায্য করেছে তা আর বলার
অপেক্ষা রাখে না। বাংলার প্রায় দেড় কোটি
মহিলার অ্যাকাউন্টে মাসিক চলে যায় ৫০০ টাকা করে। প্রকল্প চালু হওয়ার দু'বছরের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের
উপভোক্তার সংখ্যা নয়া রেকর্ড স্পর্শ করল। বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন
অনুযায়ী, দু’বছরেই এই প্রকল্পের সংখ্যা ২
কোটির গণ্ডি ছাড়াতে চলেছে।
সিকিম থেকে শিক্ষা, বন্যার আশঙ্কায় আগে-ভাগেই কন্ট্রোলরুম চালু করল নবান্ন
সূত্র অনুযায়ী, সাম্প্রতিক দুয়ারে
সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রচুর আবেদন জমা
পড়েছে। জমা পড়া আবেদনের মধ্যে আরও ৯ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর
ভাণ্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পান। আরও ৯ লক্ষ উপভোক্তা যোগ হলে তা ২ কোটি ছাড়াবে।
Sikkim Flash Flood: তিস্তায় ভাসছে দেহ, তার মধ্যেও খড়কুঁটোটুকু বাঁচাতে মরিয়া মানুষ
মমতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে
একাধিক নয়া প্রকল্প চালু হয়েছিল। আরও ৯ লক্ষ উপভোক্তা যোগ হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রেকর্ড তৈরি করবে। নয়া নিয়মে লক্ষ্মীর
ভাণ্ডার প্রাপকদের বয়স ৬০ বছর হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁরা বার্ধক্যভাতা পেতে শুরু
করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা পান প্রতি
মাসে ১ হাজার টাকা ও অন্যান্য মহিলারা ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন।