কলকাতাকে দৃশ্যদূষণ থেকে মুক্তি দিতে চায় পুরসভা। তাই এবার
আসছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানোয় নতুন নীতি। ইতিমধ্যেই খসড়া প্রস্তাবও তৈরি হয়ে
গিয়েছে। মেয়র পারিষদদের বৈঠকে তা অনুমোদন পেলেই কলকাতা পুরসভার নতুন হোর্ডিং নীতি
কার্যকর হয়ে যাবে।
প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে রয়েছে একাধিক ভুল, বড় নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট
২০২৩ সালে নতুন হোর্ডিং নীতি তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ
করেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই কলকাতা পুরসভার
বিজ্ঞাপন বিভাগের আধিকারিকরা খসড়া প্রস্তাব তৈরির কাজ শুরু করেন। এক বছর ধরে কাজ
করার পর বর্তমানে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপনের
নিরিখে কলকাতা শহরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হল ‘নো-অ্যাডভারটাইজ
জোন’ যেখানে কোনও রকম বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে না। দ্বিতীয় জ়োন হল ‘প্রাইভেট
হোর্ডিং ফ্রি জোন’, সেখানে শুধু সরকারি বিজ্ঞাপন বা হোর্ডিং লাগানো হবে।
তৃতীয় হল ‘গ্রিন জোন’ যেখানে পুরসভা অনুমতি দিলে তবেই বিজ্ঞাপন বা হোর্ডিং
লাগানো যাবে।
May Day 2024: ভারত প্রথম শ্রমিক দিবস উদযাপন করেছিল কবে
নতুন এই নীতিতে কলকাতা পুলিশের কিয়স্ক, ট্রাফিক
সিগন্যালের খুঁটিতে কোনওরকম বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে না। কলকাতা মেট্রো বা ভারতীয়
রেলের কোনও জোন যা কলকাতা শহরের মধ্যে পড়ে, তেমন
জায়গায় কোনও বিজ্ঞাপন লাগাতে হলে পুরসভার তরফ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে
দিতে হবে নির্ধারিত মাত্রায় কর। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে হোর্ডিং লাগাতে হবে।
দৃশ্যদূষণ তো বটেই, সেই সঙ্গে অন্য দূষণ রোধেও হোর্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে
পিভিসি ফ্লেক্স ব্যবহার করার কথা ওই খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।