চলতি বছর ১৯ সেপ্টেম্বর পালিত হতে চলেছে গণেশ চতুর্থী। ভারত জুড়ে
মহাসমারোহে পালিত হয় এই উৎসব। বাড়িতেও গণপতির পুজো করা হয়। পুজোপাঠ শেষে ও বিসর্জনের
সময় গণপতি বাপ্পা মোরিয়া বলা হয়। এই ‘মোরিয়া’ শব্দটি কেন সিদ্ধিদাতার ক্ষেত্রে
ব্যবহার করা হয় তা জানেন? এর নেপথ্যে রয়েছে এক কাহিনী।
গণেশ পুরাণ
অনুসারে,
প্রাচীনযুগে সিন্ধু নামে এক অত্যন্ত শক্তিশালী ও বলিয়ান অসুর ছিল।
পরাক্রমশালী হওয়ার পাশাপাশি খুব খারাপ প্রবৃত্তিও ছিল তার। মানুষ দুঃখ-কষ্ট থাকলে
খুব খুশি ও মজা পেত। শুধু সাধারণ মানুষই নন, দেব-দেবীরাও তার
অত্যাচার ও সন্ত্রাসী মনোভাবে প্রাণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। কীভাবে সিন্ধুর হাত থেকে
রক্ষা পাওয়া যায়, সেই উপায় খুঁজে পেতে গণেশের শরণাপন্ন হন
তাঁরা।
গণেশের জন্মই হয়েছিল ভক্তদের রক্ষা করতে ও শান্তি প্রদান করতে। সকলের
দুঃখ দূর্দশা দূর করার জন্যই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
সিন্ধুকে বধ করার জন্য গণেশ ইঁদুরকে নয়, ময়ূরকে বাহন হিসাবে বেছে
নিয়েছিলেন। ধারণ করেছিলেন ছয়টি অস্ত্রের রূপেও। সবশেষে প্রচন্ড লড়াইয়ের পর
সিন্ধুকে বধ করার করে তিনি সকল মর্ত্যবাসীকে রক্ষা করেছিলেন। শান্তি ও সুখ প্রদান
করেছিলেন। তারপর থেকে ভক্তরা গণেশ পুজোর সময় “গণপতি বাপ্পা
মোরিয়া” ধ্বনি দিয়ে সিদ্দিদাতাকে বন্দনা করে থাকে।