সম্প্রতি শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেব এবং স্বামী বিবেকানন্দ’কে
নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে দেশবাসীর রোষের মুখে পড়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসী।
যাঁর নাম অমোঘ লীলা দাস। তাঁকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন অসংখ্য নাগরিক। জনগণকে ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচারের ক্ষেত্রে
ইসকনের ভূমিকা বোঝাতে গিয়ে তিনি সরাসরি রামকৃষ্ণ ও স্বামীজীর ভাবধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। জেনে নিন ইসকনের এই সন্ন্যাসীর আসল
পরিচয়।
অমোঘ লীলার জন্ম লখনউয়ের একটি
ধর্মীয় পরিবারে। একাধিক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন যে তিনি অল্প বয়সে তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রা
শুরু করেছিলেন। ২০০০ সালে যখন তিনি দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়েন, তখন তিনি ঈশ্বরের সন্ধানে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তারপর তিনি
আবার গৃহ জীবনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেইসঙ্গে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে
পড়াশোনা শুরু করেন। ২০০৪ সালে তিনি স্নাতক
হন। এরপর তিনি আমেরিকার একটি বহুজাতিক সংস্থায়
কাজ শুরু করেন। ২০১০ সালে কর্পোরেট দুনিয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি
প্রজেক্ট ম্যানেজারের পদে কাজ করছিলেন। ২৯ বছর বয়সে তিনি ইসকনে যোগ দেন এবং কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী হন। ইঞ্জিনিয়ার
থেকে সাধক হয়ে ওঠা অমোঘ লীলা দাসকে সোশ্যাল
মিডিয়ায় অনেকেই অনুসরণ করেন। তিনিই সম্প্রতি রামকৃষ্ণ
দেব এবং স্বামীজী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
Sri Ganeshaya Namah: বুধবারের এই প্রতিকার আকস্মিক সংকট থেকে বাঁচায়, শেষ হয় ঘরোয়া অশান্তি
sawan month 2023: শাস্ত্রমতে, শ্রাবণ মাসে দই খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ কেন জানেন
শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে কী বলেছেন তিনি?
সম্প্রতি তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ বাণীকে উদ্ধৃত করে এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রামকৃষ্ণ
ভক্তরা। শ্রীরামকৃষ্ণ যেভাবে মানুষকে ঈশ্বরলাভের একাধিক পথ
সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তারই সমালোচনা করেন এই ব্যক্তি। স্বামী বিবেকানন্দকেও নিশানা করেন অমোঘ লীলা। তিনি বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দ যদি মাছ খান, তাহলে তিনি কিকরে একজন সিদ্ধপুরুষ? কারণ কোনও সিদ্ধপুরুষ কখনও মাছ খাবেন না, কারণ মাছও ব্যথা অনুভব করে। একজন সিদ্ধপুরুষের অন্তরে মমতা
থাকে।’’ শুধু তাই নয়, অমোঘ দাস লীলা এমনও বলেন যে স্বামীজী’র কয়েকটি মতামত নাকি গ্রহণযোগ্য নয়। এরপরই রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। যদিও এই ঘটনা সামনে
আসার পর ইসকন কর্তৃপক্ষ এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে তাঁকে।