সূর্যপুত্র শনিদেব কর্মফল দাতা। প্রত্যেক মানুষকে তিনি কর্ম অনুযায়ী ফল দেন।
শনিদেবের সামনে প্রণাম করতেন বড় বড় দেবতারা। কিন্তু
সত্যযুগে শনি মহারাজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এমন একজন ছিলেন যিনি জন্মগতভাবে নর।
আরও পড়ুন: Health Tips: সাবধান! প্রতিদিনের এই ৫টি অভ্যাস আপনাকে ঠেলে দিচ্ছে উদ্বেগের দিকে, সচেতন হন আজই
আরও পড়ুন: Astro Tips: মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গিয়েছে? মেনে চলুন দূর্বার এই সহজ নিয়ম, হারানো জিনিস তাড়াতাড়ি ফিরে পাবেন সহজেই
সত্যযুগে রাজা দশরথের রাজ্য খুব ভালভাবে
চলছিল। একদিন তাঁর জ্যোতিষী একটি মর্মান্তিক সংবাদ দিলেন। জ্যোতিষী জানালেন, শনি কৃত্তিকা
নক্ষত্রের শেষ পর্বে ছিলেন, এখন তিনি শীঘ্রই রোহিণী নক্ষত্রের
দিকে চলেছেন। রোহিণী নক্ষত্রে শনির গতিকে
রোহিণী-শক্তি-ভেদন বলা হয়। এমন যখন হয় তখন মনে করতে হবে যে রাজ্যে
তীব্র খরা ও দূর্ভিক্ষ আসতে চলেছে। ।
রাজা দশরথ সকল ঋষিদের দরবারে ডেকে তাঁদের মতামত জানতে চাইলেন। সকলেই জানালেন এই ঘটনাকে বদলানোর ক্ষমতা দেবরাজ ইন্দ্র বা স্বয়ং ব্রহ্মা কারওরই নেই। কিন্তু রাজার কাছে
প্রজা তো সন্তান। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন নিজেই
যুদ্ধ করবেন। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত
হয়ে তিনি তাঁর রথকে আকাশের দিকে নিয়ে গেলেন। দশরথ রোহিণী নক্ষত্রের সামনে
দাঁড়ালেন এবং শনি রোহিণীতে যাওয়ার চেষ্টা করামাত্র তির
ধনুক দ্বারা আক্রমণ করলেন।
একজন মনুষ্যকে এমন নির্ভয়ে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে
থাকতে দেখে শনি মহারাজ প্রসন্ন হলেন। তিনি দশরথকে
বর দিতে চাইলেন। বর হিসেবে দশরথ চাইলেন
শনিদেব যেন রোহিণী ভেদন বন্ধ করেন। এই কথা শুনে শনি খুশি হয়ে রাজাকে আরও একটি বর চাইতে
বললেন। তখন দশরথ নিজের রাজ্যে বারো বছরের জন্য ভাল ফসল এবং দুর্ভিক্ষ না হওয়ার বর চাইলেন।
রঘুপতি পিতার এই পরার্থ চিন্তা দেখে শনি মহারাজ খুব খুশি
হয়েছিলেন এবং দুটি বরই প্রদান করেছিলেন।