কিছুদিন আগে ২৬ বছর বয়সী শ্রীময়ী চট্টরাজকে
বিয়ে করে শিরোনামে ছিলেন ৫৩ বছরের অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। ভোটের গরমে আবারও খবরে তিনি। তবে
কাঞ্চন নিজে একজন দুর্দান্ত কমেডিয়ান শিল্পী, তাই তাঁর সঙ্গে ঘটা ঘটনাবলীতে যেন কমেডিই
প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন হয়েছে কি, শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ভোটের প্রচারে বেরিয়েছেন। তাঁকে সঙ্গ দিতে একই গাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চন মল্লিক।
আচমকা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। মনমরা হয়ে কাঞ্চন বেরিয়ে গেলেন কল্যাণের প্রচার
ছেড়ে। পরে কল্যাণের দাবি, কাঞ্চনকে
দেখলেই গ্রামের মহিলারা ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন। তাই তিনি শ্রীরামপুরের বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার
সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কোন্নগরের
স্টেশন রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে থেকে হুড
খোলা গাড়িতে করে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ
বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন
মল্লিক সহ আরও কয়েকজন। কয়েক জনের পাশাপাশি কল্যাণের সঙ্গেই ছিলেন
উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক।
কিন্তু প্রচার শুরুর আগেই কাটল তাল। কারণ, কল্যাণ চাননি
তাঁর প্রচার গাড়িতে থাকুন কাঞ্চন। সে কথা তিনি কাঞ্চনকে
জানান। তারপরেই উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণের
প্রচার গাড়ি ছেড়ে নেমে এক দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে বসে বেরিয়ে যান।
এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘উনি মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন কি হননি, আমি জানি না।
আমি ওঁকে নিয়ে আগেও প্রচার করেছি। আমার সঙ্গে যখন প্রচারে বেরোচ্ছেন তখন গ্রামের
মহিলারা কিন্তু ভীষণ রিয়্যাক্ট করছেন। আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, ‘গ্রামে এসো না।’ আর আমার সঙ্গে প্রচারে শুধু
কেন থাকছেন? এক জন বিধায়ক, তিনি
তো নিজেও প্রচার করতে পারেন, তা তো করছেন না। আমি
ব্যক্তিবিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। এক
জনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।’’