আগামী ২০ জুন শুরু
হচ্ছে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। ভগবান জগন্নাথের দর্শন পেতে হাজার হাজার ভক্ত পুরীতে আসেন। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, একবার বোন সুভদ্রা
তার দুই দাদা জগন্নাথ ও বলভদ্রের সঙ্গে শহর ভ্রমণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বোনের ইচ্ছা পূরণ করতে রথে বসিয়ে শহর
পরিক্রমণ করান দুই ভাই। এই সফরে তাঁরা মাসি
গুন্ডিচা দেবীর বাড়িতে ৭ দিন ছিলেন। সাত দিন পর উল্টোরথে
মাসির বাড়ি থেকে পুরী ফিরে আসেন তিন ভাই বোন। সেই থেকে রথযাত্রা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Weather Update: আন্দামানে ঢুকেছে বর্ষা! বাংলায় কবে ঢুকবে জানাল হাওয়া অফিস
আজও
রথযাত্রার সময় গুন্ডিচা দেবী মন্দিরে ৭ দিন রথ থামানো হয়। হাজার হাজার ভক্ত
বিপুল উৎসাহে রথ টানেন।
রথ এই মাজারে কিছু সময়ের জন্য
থামে
ভক্ত ও
ভগবানের সম্পর্ক অটুট বিশ্বাস ও আস্থার। একজন ভক্ত সর্বদা তাঁর ঈশ্বরের চেয়ে বড়। এটি প্রমাণ করার জন্য, জগন্নাথের রথ স্বয়ংক্রিয়ভাবে
কিছু সময়ের জন্য এই সমাধিতে থেমে যায়। কথিত আছে, জগন্নাথের এক মুসলমান ভক্ত ছিলেন। যার নাম
ছিল সালবেগ। তিনি সর্বদা মন্দিরে যেতেন ঈশ্বরের দর্শন পেতে। কোনও একদিন কিছু কারণে তিনি চেয়েও
মন্দিরে পৌঁছাতে পারেননি। শ্রী জগন্নাথের সেই ভক্তের মৃত্যুর পর সমাধি
নির্মিত হয়। সেই বছর রথযাত্রার সময় ভগবান জগন্নাথের রথ
হঠাৎ সেই সমাধিতে থেমে যায় এবং কিছু সময়ের জন্য সামনে এগোয় না। ভক্ত পৌঁছাতে পারেননি, ভগবান ঠিক পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর কাছে।
আরও পড়ুন: Rath Yatra 2023: জগন্নাথ দেবের মহাভোগ 'বেসারা'র পদে কেন ব্যরবহার করা হয় না তেল ও কাঁচালঙ্কা জানেন
এ সময় মানুষ
জগন্নাথের কাছে ওই ভক্তের আত্মার শান্তি কামনা করলেন। তারপর রথের চাকা আবার চলতে শুরু কওরল। সেই থেকে এটি একটি ঐতিহ্য হয়ে রয়ে গিয়েছে। প্রতি
বছর ভগবান জগন্নাথের রথ কিছু সময়ের জন্য ভক্ত সালবেগের মাজারে থামানো হয়।