ইস্কনের সৌজন্যে বৃন্দাবনে তৈরি হতে চলেছে গগনচুম্বী
মন্দির। শীঘ্রই শুরু হবে মন্দির তৈরির কাজ। ইসকনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এই মন্দির হবে
ভারতীয় সংস্কৃতির এক পীঠস্থান।
ram navami 2024: অনিন্দ্যসুন্দর সূর্যতিলকে রেঙে উঠলেন রামলালা, সারা দেশ সাক্ষী থাকল এক অবিস্মরণীয় মুহূর্তের- দেখে নিন ভিডিও
গ্লোবাল হেরে কৃষ্ণ মুভমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এবং
সহ-পরামর্শদাতা এবং ইসকন ব্যাঙ্গালোরের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চঞ্চলপতি দাসা এক
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভবিষ্যতে এই মন্দির তৈরির পরিকল্পনার বিষয়ে কথা
বলেছেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, এই মন্দির ভবিষ্যতে পর্যটন দুনিয়ার
মোড় ঘুরিয়ে দেবে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বৃন্দবনে ৬৬৮ কোটি টাকা
ব্যয় করে ৭০ তলা উঁচু ২১০ মিটার চওড়া বৃন্দাবন হেরিটেজ টাওয়ার তৈরি হবে।’ বৃন্দাবন হেরিটেজ
টাওয়ার হল একটি অষ্টভুজাকৃতির কাঠামো। যেটির উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম অংশ
পরিবেষ্টিত থাকবে মন্দির দিয়ে। মাঝখানে থাকবে গগনচুম্বী ৭০তলা মন্দির। মন্দির
কমপ্লেক্সে আরামদায়ক থাকার জায়গায় সুযোগ সুবিধা থাকবে।
মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে চান, রইল এই সেরা ১০ চাকরির ঠিকানা
মন্দির চত্বরে মাল্টি-লেভেল পার্কিং তথা একসঙ্গে ৩০০০ গাড়ি
পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে। প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ভক্ত সমাগম হলেও তা সামাল দেওয়ার
ব্যবস্থা থাকবে। পূজো-পার্বে ভিড় বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণে কোনও অসুবিধা হবে না।
চঞ্চলপতি দাসার সংযোজন, ‘বিদেশীরা
আধ্যাত্মিকতার সন্ধান করেন। তাঁরা যাতে আমাদের দেশের প্রতি আরও বেশি করে আকর্ষিত
হন সেই জন্য আমাদেরও অবশ্যই আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় অবকাঠামো থাকতে হবে, যা নিয়ে আমরা
নিজেরাও গর্ব অনুভব করতে পারি। সেই সব জায়গাগুলি বিদেশিদের ঘুরিয়ে দেখাতে পারি।
বৃন্দাবনে ঘুরতে এলে এই ধরনের নির্মাণ দেখলে তাঁরাও মুগ্ধ হবেন। কৃষ্ণ-বাণীকে আরও
বেশি করে মানুষের মনে পৌঁছে দিতে পারব আমরা। আরও বেশি তাঁরা শ্রীকৃষ্ণ প্রেমে
উৎসাহী হবেন।’
দাসার মতে, ভারতের ঐতিহ্যবাহী স্থানের টানে
আকর্ষিত হন বিশ্বের চিন্তাবিদ, নেতা সহ দার্শনিক সকলেই। এই মন্দির
তৈরি হলে আধ্যাত্মিক চেতনা আরও বাড়বে গোটা বিশ্বজুড়ে, বাড়বে একে অপরের
সাংস্কৃতিক বিনিময়ও।