স্টক
মার্কেট একটু বুঝলেই তা থেকে হতে পারে দারুণ উপার্জন। সেই উপার্জনের অন্যতম পন্থা
হতে পারে ভারতের নানাবিধ দুগ্ধ খাত। দুগ্ধ খাতের স্টকে বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছে
বেশ কিছু ব্রোকারেজ ফার্ম।
একদিকে, দুগ্ধশিল্প ক্রমাগত সংগঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে উপভোক্তাদের কাছ থেকে মূল্য পণ্যের
চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে বেসরকারি দুগ্ধ সংস্থাগুলি অনেক উপকৃত হবে। স্বল্পমেয়াদে
মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আয় বাড়িয়ে দুগ্ধ কোম্পানিগুলোও লাভবান হবে। এমন পরিস্থিতিতে
বিশ্বব্যাপী ব্রোকারেজ অ্যান্ড রিসার্চ কোম্পানি ইনভেস্টেক বিনিয়োগকারীদের ডেইরি
খাতের শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছে।
LPG Gas: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, আবার বাড়তে চলেছে গ্যাসের পিছনে খরচ
ইনভেস্টেকের
সাম্প্রতিক সময়ের একটি রিপোর্ট বলছে ডোডলা ডেইরি ভারতের দুগ্ধ খাতের শীর্ষস্থানীয়
স্টক পিক। ইনভেস্টেক বিনিয়োগকারীদের ১৪০০ টাকার লক্ষ্যমাত্রা মূল্যের সাথে ডোডলা
ডেয়ারি স্টক কেনার পরামর্শ দিয়েছে।যা স্টকের বর্তমান স্তরের থেকে ৬০ শতাংশ বেশি
রিটার্ন দিতে পারে। সোমবারের ট্রেডিং সেশনে দোদলা ডেয়ারির স্টক ০.৪৫ শতাংশ
বৃদ্ধির সঙ্গে ৮৯০.৬০ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
Ration Card: রেশন কার্ড থাকলেই বিশাল লাভ, দুর্দান্ত অফার দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার
দুগ্ধ খাতের
আরেকটি কোম্পানি হেরিটেজ ফুডস-এর স্টক নিয়েও ইনভেস্টেক বুলিস ধারণা রাখছে।
ব্রোকারেজ হাউজ বিশ্বাস করে,বিনিয়োগকারীদের হেরিটেজ ফুডস স্টক
কেনা উচিত ৪৫০ টাকার লক্ষ্যমাত্রা এবং ৪৬ শতাংশ
রিটার্ন। আজকের ট্রেডিংয়ে হেরিটেজ ফুডস-এর স্টক ২.৪৬ শতাংশ কমে ২৯৯.৩০ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
ডেয়ারি
সেক্টরের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত আরেকটি কোম্পানি পরাগ মিল্ক ফুডস-এর প্রতিও
ইনভেস্টেক বুলিশ রিটার্ন ইনডিকেট করছে। ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারীদের পরাগ
মিল্কের স্টক ৩১০ টাকা বা ৪৫ শতাংশের উর্ধ্বমুখী মূল্যের সাথে কেনার পরামর্শ
দিয়েছে, যা বর্তমানে ২০৯.৬৫ টাকায় ট্রেড করছে। ইনভেস্টেক
বিনিয়োগকারীদের হাতসুন এগ্রো প্রোডাক্টের স্টক বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছে, যা বর্তমানে ৯৯৫.৯৯ টাকায় ট্রেড করছে। ব্রোকারেজ হাউজের বিশ্বাস, এটি ৩০ শতাংশ কমে ৭০০-এ যেতে পারে।
দুগ্ধ খাতের
স্টকগুলিতে বুলিশ হওয়ার কারণগুলির মধ্যে ইনভেস্টেক বলেছে, ভারতীয়
পরিবারগুলি তাদের খাদ্য বাজেটের ১৪ শতাংশ দুগ্ধজাত পণ্যে এবং ২৭ শতাংশ প্যাকেটজাত
খাবারের জন্য ব্যয় করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ভারতের
দুগ্ধ শিল্প গত এক দশক ধরে বার্ষিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধির হার নিয়ে ডেভেলপ করছে। এটি
১১ শতাংশ বৃদ্ধির হার দেখাতে পারে। ব্রোকারেজ হাউজ অনুমান করেছে, ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষের মধ্যে দুগ্ধ খাতের মূল্য ১৫ ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে।