নাম না করেই পরমাণু
অস্ত্র নিয়ে রাশিয়াকে কড়া বার্তা দেওয়া হল জি২০ সম্মেলনে। শনিবার ভারতে শুরু হয়েছে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন।
উপস্থিত রয়েছেন সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এবং ইটালির
প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির মতো পরিচিত রাষ্ট্রনেতারা বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন।
আবার আমন্ত্রণ পেয়েও আসেননি কয়েক জন প্রভাবশালী রাষ্ট্রপ্রধান। এই তালিকায় প্রথমেই
রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে দিল্লি এসেছেন রুশ
বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও দিল্লি না এসে জি২০তে
পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংকে।
এদিন সকালে প্রথম পর্যায়ের আলোচনাতেই উঠে আসে
যুদ্ধ প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে জি ২০ দেশগুলির কী অবস্থান, তা নিয়ে আলোচনা হয়। যৌথ ঘোষণা বা ডিক্লেয়ারেশনে
বলা হয়েছে, পরমাণু
অস্ত্রের ব্যবহার বা অস্ত্র নিক্ষেপের হুমকি থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি
ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বৈঠকের দ্বিতীয়
পর্যায়ে পরমানু নিয়ে তৈরি ঘোষণাপত্রের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বার্তা দেন, কখনওই দখলদারির জন্য বা কোনও দেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করার জন্য
বাহিনীকে ব্যবহার করা উচিৎ নয়। পরমাণু
অস্ত্র কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা বা হামলার হুমকি দেওয়াকেও গ্রহণ করা যায় না।
এছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছে, খাদ্যের জোগান, নিরাপত্তা, সাপ্লাই
চেন, ম্যাক্রো ফিনান্সিয়াল
স্টেবিলিটি, মূল্যবৃদ্ধি
ও আর্থিক বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে।