ফের আমদানি শুল্ক বাড়াতে
চলেছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রে অন্তত সেরকমই জানা যাচ্ছে। যে উপকরণ, উপাদান, কাঁচামাল এবং পণ্যগুলির আমদানি শুল্ক বাড়ানো হবে বলে শোনা
যাচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে
ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, গ্লসি পেপার, সোনার গহনা, প্লাস্টিক, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি কিছু কিছু ওষুধ।
আমদানি শুল্ক বাড়ানোর
কারণ হিসেবে মুখে বলা হচ্ছে আত্মনির্ভর ভারতের কথা। অর্থাৎ যাতে ভারতে উৎপাদিত
পণ্য আরও বেশি করে ক্রয়বিক্রয় হয়। দেশীয় পণ্য ও কাঁচামালের চাহিদা যাতে বেশি
বৃদ্ধি হয়। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। আর বিদেশ থেকে আমদানির প্রবণতা
কমে গেলে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য, কাঁচামাল, উপাদানের জোগানে টান পড়বে।
২০২৩ সালের বাজেটেও এই পণ্য ও উপকরণের মধ্যে
কয়েকটির আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। এবার আবার একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে
শোনা যাচ্ছে। ২০২০ সালে লাদাখে চিনের
আগ্রাসনের জেরে ভারত সরকার চিনের পণ্য আমদানির বিরুদ্ধে
হুঙ্কার দিয়েছিল। আত্মনির্ভর ভারতের স্লোগান এবং প্রকল্প সেই বছরই ঘোষণা করা হয়।
সেই স্লোগানের প্রেক্ষিতে সেই বছরই চিনের বহু পণ্য আমদানি
পরোক্ষে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই দেখা যায় সেই অঘোষিত বয়কট
আদৌ কার্যকর হয়নি। কারণ বিগত তিন বছরে চীন থেকে আমদানি করার প্রবণতা অনেক বেড়েছে।