হিন্দুধর্মে নদীকে
পুজোর উপযোগী বলে মনে করা হয়।
তাদের মায়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয়
যে, নদীতে স্নান করলে
মানুষের জন্মের পর থেকে করে চলা পাপ
ধুয়ে যায় এবং সে মোক্ষ লাভ করে।
আরও পড়ুন: sawan month 2023: শ্রাবণ মাসে মহাদেবের কৃপা পেতে এই টোটকাগুলি অবশ্যই মেনে চলুন
আরও পড়ুন: Aloo Paratha: এবার না বেলেও বানাতে পারেন আলুর পরোঠা
ভারতীয় পুরানে এমনই একটি নদীর কথা বলা রয়েছে, তাঁর
নাম বৈতরণী। বলা হয় এই নদীর জল পাপীদের দেখলেই ফুটতে শুরু
করে। চলুন জেনে নিই বৈতরণী নদীর রহস্য।
গরুড় পুরাণ অনুসারে,
বৈতরণী নদী পৃথিবী থেকে ৮৬,০০০ যোজন দূরে যমলোকে প্রবাহিত হয়। পৃথিবীর নদীগুলিতে জল রয়েছে, কিন্তু বৈতরণী নদী
রক্ত ও পুঁজে পূর্ণ। মৃত্যুর পরে, আত্মা যখন যমলোকে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেয়,
তখন তাকে বৈতরণী নদী দিয়ে যেতে হয়। কৃমি,
কুমির রয়েছে এই নদীতে।
বৈতরণী নদী এসব মানুষকে কষ্ট দেয়
মৃত্যুর পর যমদূতরা যখন পাপী
আত্মাকে নিয়ে বৈতরণী নদী দিয়ে নিয়ে
যায়, তখন নদীর রক্ত ফুটতে থাকে। কথিত
আছে, যে জীবনে খারাপ কাজ
করে, ধর্মকর্ম,
দান-খয়রাত করে না, সেই পাপীকে
বৈতরণী নদী পার হতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এই নদী পাপীদের দেখে
ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে। এর পরে,
যমদূতরা নাকে কাঁটা ঢুকিয়ে আত্মাকে টেনে নদীর উপর নিয়ে যায়।
বৈতরণী নদীর যন্ত্রণা এড়াতে এই
কাজটি করুন
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে বৈতরণী
নদীর প্রকৃতি সবসময় একরকম থাকে না। যারা জীবদ্দশায় ভগবানে ভক্তি ও দান-ধ্যান করেন তাদের মৃত্যুর পর যমলোকে যাত্রার সময় কোনও
কষ্ট ভোগ করতে হয় না। শাস্ত্রে গরু দানকে মহা দান বলে গণ্য করা হয়েছে। তাই
যারা গো-দান যমদূতরা দাতাদের নৌকায় বসিয়ে
বৈতরণী নদীর ওপারে নিয়ে যায়। এই সময় নদী শান্ত থাকে।