শীতকাল এলেই প্রথমেই মাথায় আসে তা হল বেড়াতে কোথায় কোথায় যাওয়া যায়। কারণ
এই সময়টা ঘুরতে যাওয়ার জন্য একেবারে মোক্ষম। তবে বেড়াতে গেলেই তো চলবে না। তার সঙ্গে
খাওয়া-দাওয়াও করতে হবে এটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। আর শীত মানেই বড়দিন। আর বড়দিন
মানেই কেকের মরসুম। বছরের আর পাঁচটা সময়ে জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীতে ক্রিম দেওয়া কেকের
চাহিদা বেশি হলেও বড়দিনের কেকের চাহিদা থাকে সব থেকে বেশি। পাড়ার মোড়ে মোড়ে নামী-দামি
কেকের দোকানগুলি— সব জায়গায় লম্বা লাইন। দামও থাকে একেবারে আকাশছোঁয়া। তাই আপনি চাইলেই
খুব অল্প খরচে দোকানের স্বাদের কেক বানিয়ে ফেলতে পারেন।
আর হাতের কাছে যখন আছে নেটদুনিয়া তখন আর চিন্তা কীসের। ইউটিউব দেখে অনায়াসেই
বানিয়ে ফেলতে পারেন কেক। তবে কখনও কেক পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়, তো কখনও আবার ফোলেই
না। দোকানের মতো ‘পারফেক্ট’ স্পঞ্জ কেক বানাতে কালঘাম ছুটে যায় অনেকের।
বেকিংয়ের ক্ষেত্রে পরিমাণ ও তাপমাত্রা দু’টিই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক অনুপাতে সব উপকরণ মেশানো। মাখন বা তেল বেশি হয়ে গেলে কেকের মিশ্রণ পাতলা হয়ে যাবে।
ঠিক মতো ফুলবে না। আবার ময়দা বেশি পড়ে গেলেও বেজায় শক্ত হয়ে যাবে কেক। উপকরণ মাপার
জন্য ‘বেকিং কিট’ কিনতে পাওয়া যায়।
কেক বানানোর আগে বেকিংয়ের জন্য আপনি ছ’টা ডিমের কুসুমগুলি আলাদা করে নিন। এবং আধ
কাপ চিনির সঙ্গে তত ক্ষণ মেশাতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি ফুলে তিন গুণ হয়ে যায়। এ
বার ডিমের সাদা অংশগুলি ভাল করে মিশিয়ে নিন তত ক্ষণ পর্যন্ত, মিশ্রণটি ঘন হচ্ছে। এ
বার ধীরে ধীরে ডিমের কুসুমের মিশ্রণের সঙ্গে সাদা অংশের মিশ্রণটি মিশিয়ে নিন। তার পর
ময়দা দিয়ে ধীরে ধীরে মিশিয়ে নিন সবটা। এ বার বেকিংয়ের পাত্রে একটি বাটার পেপার পেতে
মিশ্রণটি ঢেলে নিন। মাইক্রোওয়েভেই তৈরি করতে পারেন কেক।
মাইক্রো মোডে মিনিট পাঁচেক বেক হতে দিন কেক। এক মিনিট ভিতরে রেখে পাত্রটি
নামিয়ে নিন। আপনার কেক তৈরি।