কিছু উপায় মেনে চললে আপনার সন্তানও
হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান, জীবনে আসবে সাফল্য। 'রিডার্স ডাইজেস্ট' অবলম্বনে জানানো হলো ১২ টি
উপায়, যা আপনার সন্তানকে মেধাবী করতে সহায়তা করবে।
১। সন্তানকে
পরিকল্পনা করতে শেখান। সময়ের কাজ সময়ে করতে রুটিন তৈরি করুন ও তা মেনে চলতে শেখান।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট স্থানে তাকে
জিনিসপত্র রাখতে শেখান।
রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হনুমানজির এই মন্ত্র পাঠ করছেন তো! অশুভ শক্তি দূর হবে, কেটে যাবে অর্থকষ্ট
২। স্কুল থেকে
এসেই পড়ার টেবিলে বসানো নয়, বরং তাকে পোশাক ছাড়তে বলুন। হালকা টিফিন
খেতে দিন। পড়ার টেবিলে বসার আগে অবশ্যই তার বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন। হতে পারে তা
টেলিভিশন দেখা অথবা বাইরে একটু খেলতে যাওয়া।
৩। বিশেষ বিশেষ
অনুষ্ঠানগুলো মনে রাখার জন্য সন্তানের ঘরের পড়ার টেবিলের সামনে রাখুন হোয়াইট
বোর্ড। আর্ট পেপারে রঙ করেও বানিয়ে নিতে পারেন ছোট ক্যালেন্ডার। সেখানে তার খেলার
দিন, বন্ধুদের জন্মদিন সবকিছু উল্লেখ থাকবে। এতে আপনার সন্তান শিখবে আপনি তাকে
কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন।
৪। বিশেষজ্ঞরা
জানান, পড়ার আলাদা টেবিল ছাড়াও ডাইনিং টেবিল, কিচেন
কাউন্টার এবং ঘরে যদি আপনার ছোট্ট কাজের জায়গা থাকে তবে সেখানেও সন্তানরা পড়তে
পারবে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যেই খেয়াল রাখতে হবে সন্তানদের পড়ার জন্য যা প্রয়োজন
তা যেন হাতের কাছে থাকে, শান্ত পরিবেশ ও গোছানো থাকে। এতে
তার পড়া থেকে মনোযোগ সরবে না।
প্যারাসিটেমলের থেকে অনেক বেশি ব্যথা নাশ করে বিয়ার, বলছে গবেষণা
৫। সবসময় পড়ার
কথা বলবেন না সন্তানদের। হালকা বিশ্রামের জন্য তাদের বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে
দিন। গেম খেলুক সে। তবে দেখবেন বিছানায় শুয়ে শুয়ে যেন সে স্মার্টফোন না ঘাটে।
৬। সন্তানের
পড়ার ঘরে থাকুক পর্যাপ্ত আলো-বাতাস। ঘরের দেয়ালের রঙ যেন গাঢ় না হয় সেদিকে খেয়াল
রাখুন। এতে শিশুর সৃজনশীলতা নষ্ট হয়। সবসময় পড়ার ঘরের দেয়াল রাখুন হালকা শেডের।
৭। পড়ার টেবিলে
কখনওই অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখবেন না। যদি কোনও কিছু অশোভন দেখায়, হতে
পারে তা বইয়ের স্তুপ তবে বড় ফটো ফ্রেম দিয়ে ঢেকে রাখুন। সন্তানকে ফাইল
অর্গানাইজার কিনে দিন।
৮। স্কুলের
বাড়ির কাজে শিশুদের অনেক সময় ব্যবহার করতে হয় গ্রাফ পেপার। রেখাচিত্র আঁকাসহ অনেক
সূক্ষ কাজ করতে দেওয়া হয় তাদের। এ কাজে প্রয়োজন উজ্জ্বল আলো। সন্তানের ঘরে তাই
রাখুন পর্যাপ্ত আলো।
৯। পড়ার ঘরে
পর্যাপ্ত পরিমাণ খালি স্থান রাখুন। সেখানে যেন থাকে সন্তানের পছন্দের খেলনা। ছোট্ট
নরম টেডি বিয়ার, বিভিন্ন আকৃতির বালিশ ঘরের মধ্যে তাদের আরাম এনে
দিবে। অনেক সময় একঘেয়েমির কারণে শিশুরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে না। তাই ঘরে
রাখুন বইয়ের শেলফ। সেখানে রাখুন মজাদার ও রঙিন গল্পের বই।
১০। সন্তানের
ঘরের জন্য কোন কোন নতুন পরিবর্তন আনা যায় তা ভেবে বের করুন। সন্তান স্কুলের
শিক্ষকদের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারছে কিনা, তার বাড়ির কাজে সহায়ক
হবে এমন ওয়েবসাইটের খবর রাখা, কোন সফটওয়্যার দরকার এবং কোন
কোন ক্ষেত্রে শিশু পিছিয়ে আছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।