শ্রীমদ্ভগবৎগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দেওয়া শিক্ষা
বর্ণিত হয়েছে। গীতার এই শিক্ষা মহাভারতের যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে
দিয়েছিলেন। গীতায় দেওয়া শিক্ষা আজকের দিনেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
এই শিক্ষা মানুষকে জীবন যাপনের সঠিক পথ দেখায়। গীতার বাণী জীবনে গ্রহণ করলে মানুষ
অনেক উন্নতি লাভ করে।
আরও পড়ুন: Ramayan: ৫০০ কোটি টাকার 'লঙ্কা', রামায়ণের চটুল সংলাপ! আদিপুরুষের ৩৬ বছর আগে এই বাজেটে রামায়ণ তৈরি করে ইতিহাস গড়েছিলেন রামানন্দ সাগর
গীতাই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা মানুষকে
বাঁচতে শেখায়। গীতা জীবনে ধর্ম, কর্ম ও প্রেমের পাঠ
দেয়। শ্রীমদ্ভগবত গীতার জ্ঞান মানব জীবনের
জন্য উপযোগী বলে বিবেচিত হয়েছে। গীতা একটি সম্পূর্ণ জীবন দর্শন এবং যে ব্যক্তি
এটি অনুসরণ করে সে সর্বোত্তম। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ কর্মের কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই ১২টি নতুন রুটে চলবে সরকারি বাস, স্বস্তির খবর গ্রাম এবং শহরতলির মানুষদের জন্য
শ্রীমদ্ভগবৎগীতার মূল্যবান বাণী
শ্রী কৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে একজন
মানুষের সর্বদা ভাল কাজ করা উচিৎ। কুকর্ম করলে ভাগ্যও বিনষ্ট হয়। যে ব্যক্তি নিজের কর্মের প্রতি অটুট বিশ্বাস রাখে এবং সর্বদা তার কর্মের প্রতি অটল থাকে, সে ব্যক্তি জীবনে সবসময় সফল হয়।
শ্রী কৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে প্রতিটি
মানুষকে কিছু না ভেবে শুধু কর্মের পথে চলতে হবে। যে ব্যক্তি কোন কাজ না করে শুধু
ফলাফলের চিন্তায় থাকে সে জীবনে কেবল ব্যর্থতাই পায়।
শ্রীকৃষ্ণের মতে, পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন সব সময় একই থাকে না। পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়, সেইজন্য মানুষকে ধৈর্য এবং সাহসের সঙ্গে কাজ
করা উচিৎ। শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে ভগবান কখনওই কোন ব্যক্তির প্রতি অবিচার করেন না, তিনি ততটাই দেন যতটা
মানুষের প্রাপ্য।
শ্রী কৃষ্ণ বলেন, 'যদি কোনও সম্পর্ক
হারিয়ে যায় বা কোনও সম্পর্কে হতাশ হন, তাহলে আমার সঙ্গে সেই সম্পর্ক তৈরি করুন। আমি তোমাকে কখনওই ত্যাগ করব না।“
শ্রীমদ্ভগবৎগীতায় শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে জীবনে কোনও
কিছুই স্থায়ী নয়, তাই নিজেকে খুব
বেশি চাপ দেবেন না। মানুষের উচিৎ সর্বদা নিজের কর্মের প্রতি বিশ্বাস রেখে একাকী চলাফেরা করা।
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে, অন্যের কর্তব্য পালনে ভয় থাকে, নিজের
ধর্মে মৃত্যুও শ্রেয়। শ্রী কৃষ্ণের মতে, অন্যকে অনুসরণ বা অনুকরণ না করে আমাদের নিজেদের ধর্মকে
চিনতে হবে। অন্যকে অনুসরণ করলে মনে ভয় জাগে।
শ্রী কৃষ্ণের মতে, ভয় দূর করার একটাই
উপায়, তা হল নিজের ধর্মকে চেনা এবং তা নিয়েই
খুশি থাকা।