মাত্র ৫৪ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছিলেন মহানায়ক উত্তম
কুমার। ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই চলে গিয়েছিলেন বাংলার ম্যাটিনি আইডল। সেদিন সারা বঙ্গে
চলেছিল অরন্ধন দিবস। বহু নারী সেদিন পালন করেছিলেন ‘কাল্পনিক বৈধব্য।’ উত্তম
কুমারের মৃত্যুর আগের দিনটি তাঁর জন্য ছিল বড়ই বেদনার।
তিনি সেই দিন
সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। পাশাপাশি তার মানসিক অবস্থাও ভালো ছিল না। সেদিন সকালে
উত্তমকুমারের প্রিয় টেপ রেকর্ডার চুরি হয়ে যায়।
এই রেকর্ডারটি এতটাই প্রিয় ছিল উত্তমের যে প্রিয়জন হারানোর চেয়ে বেশি কষ্ট
পেয়েছিলেন তিনি। মন খারাপ নিয়ে তিনি শুটিং ফ্লোরে হাজির হন। সারাদিন মন খারাপ নিয়ে
শুটিং করেন তিনি। তবে এটাই যে জীবনের শেষ শুটিং তা টেরও পাননি উত্তম।
বিকেলে বাড়ি
এসে বিশ্রাম না নিয়ে বন্ধু দেবেশ ঘোষের কথা রাখতে তাঁর বাড়িতে হাজির হন উত্তম। চলে
হাসি-ঠাট্টা। মাঝরাতে বাড়ি ফিরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর উঠতে পারেননি। শেষ
পর্যন্ত উত্তম কুমারকে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই ২৪ জুলাই প্রয়াত
হন বাংলার সুপারস্টার মহানায়ক উত্তর কুমার।