মরসুমি ফলের পাশাপাশি ড্রাই ফ্রুটস
অর্থাৎ শুকনো ফল খাওয়ারও প্রবণতা বেশ বেড়েছে। শরীর তাজা
রাখতে, রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে, অনেকেই
নিয়মিত শুকনো ফল খান। তবে ভেজালের যুগে ব্রাত্য নেই এই শুকনো ফলগুলিও। এতেও মেশানো
হয় নানা ক্ষতিকারক ভেজাল দ্রব্য। শুকনো ফল তাজা দেখাতে বা আকর্ষণীয় করে তুলতে এতে
প্রচুর পরিমাণে রং মেশানো হয়। এটিই প্রাথমিক ভেজাল। এই ভেজালগুলি শরীরের কোনও
উপকার তো করেই না, উলটে ক্ষতিই করে। ফলে এই
ধরনের ফল থেকে দূরে থাকাই ভাল। কিন্তু কোন শুকনো ফলে ভেজাল আছে, তা
কী করে বুঝবেন? দেখে নিন পরিচিত কিছু শুকনো ফলে
ভেজাল আছে কি না তা উপায়-
জীবনে চলার পথ মসৃণ করতে, মেনে চলুন শ্রীকৃষ্ণের এই অমৃত বাণী
কিশমিশ:
খুব জনপ্রিয় শুনকো ফল এটি। এটিতেও দু’ধরনের ভেজাল দেওয়া হয়।
প্রথমটি হল রং। কিশমিশ কেনার সময়ে তালুতে ঘষে নিন। যদি দেখেন সোনালি রং উঠছে, তাহলে
বুঝবেন,
এতে ভেজাল আছে। দ্বিতীয়টি হল চিনি। অনেক সময়ে কিশমিশ মিষ্টি
করতে চিনির রস দেওয়া হয়। দেখে নিন এর গায়ে চিনির সূক্ষ দানা আছে কি না। লেগে থাকলে
কিনবেন না।
কাজু:
এটিও প্রচুর ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করা হয়। কেনার সময় দেখে নিন, কাজুগুলি
সাদা কি না। হলুদ রঙের কাজু একেবারে কিনবেন না। ভালো শুঁকে দেখে নিন। তেলের গন্ধ
পেলে সেই কাজু নেবেন না।
আমন্ড: এই
তালিকার একেবারে গোড়াতেই আসবে আমন্ড। এই শুকনো ফলটিতে অনেক সময়েই রং করা হয়। তাতে
এর খোসার রং গাঢ় দেখায়। এমন গাঢঞ রঙের খোসাওয়ালা আমন্ড এড়িয়ে চলুন।
জন্মাষ্টমীতে গোপুসোনাকে খাওয়ান আপেল আইসক্রিম, রইল রেসিপি
পেস্তা: এই
শুকনো ফলটি কেনার সময়ে হালকা করে দাঁতে চাপ দিয়ে দেখুন। যদি দেখেন, খুব
শক্ত,
তাহলে বুঝবেন ফলটি খুব পুরনো, এটি সহজে হজম হবে না।
তাহলে সেই পেস্তা কিনবেন না।
আখরোট:
এটি অনেক সময়ে হালকা করে তেলে ভেজে বিক্রি করা হয়। ভাল করে শুঁকে নিন। যদি তেলচিটে
গন্ধ পান তাহলে নেবেন না। রংও যদি গাঢ় বাদামি হয়, তাহলেও সেই আখরোট
এড়িয়ে চলুন।