প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৬ বছর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত আটটায়
দেশে নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণার পর থেকে দেশে প্রচলিত ৫০০ এবং ১০০০ টাকার
পুরনো নোট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান
ইকোনমি-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নোটবন্দির কারণে ভারতে ব্যবসায় ৬১ হাজার কোটি টাকার
ক্ষতি হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির লোকসান হয়েছে ৩৫,০০০ কোটি টাকা।
শুধু তাই নয়, অর্থনীতির ১.২৮ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতির কথাও বলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়,
নতুন মুদ্রা ছাপতে ১৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়েছিল।
এটি অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলেছিল, যা পুনরুদ্ধার করতে অনেক বছর সময়
লেগে গিয়েছিল। সরকার নোটবন্দির সুফল গণনা করলে, বিরোধীরা তার ত্রুটিগুলি তুলে ধরে।
নোটবন্দির কারণে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল,
প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণার পর কেউ কেউ আতঙ্কে, প্রচন্ড ভিড়, রোদে ব্যাঙ্কের বাইরে
লাইনে দাঁড়িয়ে মারা যান। পশ্চিমবঙ্গেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। দেশের অনেক জায়গায়
এটিএম-এর বাইরে ভিড় ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু
হয়েছিল। এই ঘোষণাটি দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রভাব ফেলে যার কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: কেন নিলামে উঠেছিল নোবেল পুরস্কার
আরও পড়ুন: Red Panda: নৈনিতালের চিড়িয়াখানায় রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর রেড পান্ডা, জানেন এই প্রাণীটি সম্পর্কে
সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) তাদের রিপোর্টে বলেছে, কেন্দ্রীয়
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরে নোটবন্দির পরের ৪ মাসে ১৫ লক্ষ মানুষ চাকরি হারিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন ব্যক্তি যদি চারজন নির্ভরশীল মানুষের উপার্জনকারী হয়, তাহলে
৬০ লক্ষের বেশি মানুষের মুখ থেকে এক টুকরো রুটি ছিনিয়ে নিয়েছে। CMIE-এর কনজিউমার
পিরামিড হাউসহোল্ড সার্ভে অনুসারে, নোটবন্দিকরণের পরে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের
মধ্যে দেশে চাকরির সংখ্যা ৪০.৫৫ মিলিয়নে নেমে এসেছিল, যেখানে ২০১৬’র সেপ্টেম্বর থেকে
ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরির সংখ্যা ছিল ৪০.৬৫ মিলিয়ন। অর্থাৎ ১৫ লক্ষ ভারতীয়র কর্মসংস্থান
কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
নোটবন্দির সময় ক্যাশলেস অর্থনীতির দাবি করা হয়েছিল। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী,
অর্থনীতিতে ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে। গবেষণা সংস্থা লোকাল সার্কেলের সমীক্ষা অনুযায়ী,
৭৬ শতাংশ ভারতীয় নগদ লেনদেন পছন্দ করেন।