হনুমানজিকে
অত্যন্ত শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে ভগবান হনুমান এমন একজন দেবতা, যাঁর আরাধনা করলে সব থেকে বড় বাধাও দূর হয়ে যায়। হনুমানের আরাধনা করলে শনির
অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশ্বাস করা হয় যে হনুমানজি তাঁর ভক্তদের
সমস্ত কষ্ট দূর করেন। হনুমানজী বজরংবলী, অঞ্জনীপুত্র, পবনপুত্র, রামভক্ত সহ বহু নামে পরিচিত। কিন্তু আপনি কি জানেন
মারুতিনন্দন হনুমান নামটি কীভাবে পেলেন?
শাস্ত্রমতে, প্রতি লক্ষ্মীবারে এই উপায়ে মায়ের করুন আরাধনা, মা লক্ষ্মী কোনওদিন আপনার সংসার ছেড়ে যাবেন না
কিংবদন্তি
অনুসারে, হনুমানজির বাল্যকালের নাম ছিল মারুতি। একদিন মারুতিনন্দন
ঘুম থেকে জেগে উঠে ক্ষুধার্ত বোধ করলেন। হঠাৎই দেখতে পেলেন পাশেই রয়েছে একটি লাল
রঙের পাকা ফল। আসলে সেই লাল পাকা ফলটি ছিলেন সূর্যদেব।
সেইদিন ছিল
অমাবস্যা, তাই রাহু সূর্যগ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু
সূর্যগ্রহণের আগেই পবনপুত্র সূর্যকে গ্রাস করে ফেলেন। রাহু বুঝতে পারছিলেন না কী
হচ্ছে? বাধ্য হয়ে তিনি ইন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইতে গেলেন।
দেবরাজ ইন্দ্র এসে বারবার হনুমানজিকে বললেন সূর্যদেবকে মুক্ত করে দিতে। কিন্তু
শিশু বজরংবলি তা তো শুনবেন না। তিনি ভাবলেন তাঁর খাবার জিনিস কেন তিনি ছেড়ে দেবেন? তখন বাধ্য হয়ে ইন্দ্রদেব তাঁর বজ্র দিয়ে সংকটমোচনের চোয়াল অর্থাৎ হনুতে আঘাত
করলেন। বজ্রর আঘাতে পবনপুত্রের হনু ভেঙে গেল।
Vastu Tips: ঘরের দরজায় এই একটি জিনিস ঝুলিয়ে রাখুন, আর্থিক সমস্যা দূরের পাশাপাশি মুক্তি পাবেন শনির প্রকোপ থেকেও
বজ্রের
আঘাতে পবনপুত্র অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। এদিকে পবনদেব এই সংবাদ পেয়ে
অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে সারা পৃথিবীতে বায়ুপ্রবাহ বন্ধ করে দিলেন। তার ফলে প্রাণী, উদ্ভিদকূলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।
বাধ্য হয়ে
সকল দেবতা এসে পবনদেকে অনুরোধ করলেন তাঁর ক্রোধ ত্যাগ করার জন্য। একসময় শান্ত হলেন
পবনদেব। পৃথিবীতে আবার চলাচল করতে লাগল বায়ু। দেবতারাও শিশু বজরংবলীকে আগের
অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং অনেক বরও দিয়েছিলেন।
দেবতাদের
আশীর্বাদে শিশু হনুমান আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠেন, কিন্তু
বজ্রের আঘাতে সেই যে তাঁর হনু অর্থাৎ চোয়াল ভেঙে গিয়েছিল তা আর ঠিক হয়নি। তখন থেকে
অঞ্জনীপুত্র পরিচিত হন হনুমান নামে।