পয়লা বৈশাখ আর হালখাতা দিনেদিনে
একে অপরের সমার্থক হয়ে উঠেছে। পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ নববর্ষের প্রথম দিন আমরা অনেকেই
বলি হালখাতা।
Astro Tips: রাস্তায় টাকা কুড়িয়ে পেয়েছেন, শাস্ত্রমতে, এরপর সেই টাকা কী কাজে ব্যবহার করবেন জানেন
জানেন কি নববর্ষের সঙ্গে
হালখাতার কোনও সম্পর্কই ছিল না। পরে এই হালখাতা নববর্ষের সঙ্গে যোগ হয়েছে। আদিম
যুগে মানুষ যখন হাল অর্থাৎ লাঙলের ব্যবহার শিখল তখন তারা এক জায়গায় স্থায়ীভাবে
বসবাস শুরু করল। শুরু হল চাষবাস। চাষবাসের যন্তপাতি তৈরি হলে শুরু হল দ্রব্যের
বিনিময় প্রথা। এই হালের দ্রব্য বিনিময়ের হিসেবের জন্য একটি খাতায় নিজেদের মতো করে
তারা লিখে রাখতে শুরু করল। সেই খাতারই নাম ছিল ‘হালখাতা।" হাল শব্দটি সংস্কৃত এবং ফারসি,
দু’টি থেকেই এসেছে বলে দাবি করা হয়। সংস্কৃত
অর্থ লাঙল, ফারসি অর্থে নতুন।
পয়লা বৈশাখ বাংলা দিবস, অনুষ্ঠানের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে রাজ্য সরকার
প্রাচীন হালখাতার অনুকরণে সম্রাট
আকবর জমিদারদের বকেয়া রাজস্ব আদায়ের অনুষ্ঠান ‘পুণ্যাহ’ চালু করেছিলেন। তাই
অনেকেই মনে করেন সম্রাট আকবর পয়লা বৈশাখ চালু করেছিলেন। কিন্তু তা নয়। তিনি ওই দিন
রাজস্ব আদায় করতেন। এই এক নিয়ম মেনে বাংলার নবাব মুর্শীদকুলী খান ‘পুণ্যাহ’ পালন করতেন। সে সময় বহু জমিদাররা আসতেন
খাজনা দিতে। নবাবি আমলে প্রাচীন হালখাতাকে ‘পুণ্যাহ’ নাম দেওয়া হয়। পরবর্তী কালে তা আবার ‘হালখাতা’-তেই পরিণত হয়। সে অর্থে দেখতে গেলে হালখাতা আদপে ছিল রাজস্ব আদায়ের নাম।
তবে ইতিহাস বলে ‘হালখাতা’ পয়লা বৈশাখের সঙ্গে জড়িয়েছে অনেক পড়ে। এর সঙ্গে সবচেয়ে প্রথম পরিচয় ঘটে
বিনিময় প্রথার যুগের মানুষের। সে সময় পয়লা বৈশাখের কোনও চল ছিল না।