মেঘফাটা বৃষ্টিতে ভাসছে সিকিম। তিস্তার রুদ্ররূপ পাহাড়ি এলাকার দু’কূল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছেন নদীর ধারে সেনাছাউনিতে থাকা ২৩ জন জওয়ান। হয়েছে প্রচুর সম্পত্তিহানি। ধীরে ধীরে এবার জল নামছে। অনেকেই পুজোর ছুটিতে কলকাতা থেকে ঘুরতে গিয়েছে সিকিম। তবে, ভয় দেখাচ্ছে বন্যা। নিজেরা পরিবার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসবেন কীভাবে, সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বঙ্গের ভ্রমণকারীরা।
বিকল্প রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু হলেও নতুন করে বাড়ছে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। উত্তর সিকিমে মেঘ ভেঙে তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় একাধিক পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে এবং ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমানায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভেঙে গিয়েছে। বড় বিপর্যয়ে পড়েছে উত্তর সিকিম।
শুক্রবার দুপুর অবধি ২২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তিস্তার বুক থেকে। এদের মধ্যে ৬টি দেহ মহিলাদের। ১৬টি দেহ পুরুষদের। তাঁদের মধ্যে ৪টি দেহ নিখোঁজ সেনা জওয়ানদের।
ওই ২২টি দেহের মধ্যে একটি দেহের আবার শুধুমাত্র দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া দেহগুলির মধ্যে ১টি দেহ আবার রাজ্যেরই এক বাসিন্দার।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলা থেকে সিকিমে যাওয়া প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক এখনও পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারেননি। যেকোনও উপায়ে কেউ কেউ পৌঁছেছেন শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি অথবা মালদহে। তবে, অনেকেই এখনও আটকে রয়েছেন প্লাবিত পাহাড়ে। পরিবারের মানুষরাও বারবার আতঙ্কিত হয়ে ফোন করছেন তাঁদের।