মেঘফাটা বৃষ্টিতে ভাসছে সিকিম। ফাটল
ধরেছে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে।
রুদ্ররূপ নিয়েছে তিস্তা। পাহাড়ি এলাকার দু’কূল ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে তিস্তা। ভেসে গিয়েছেন নদীর ধারে সেনাছাউনিতে থাকা ২৩
জন জওয়ান।
সেনাবাহিনী বলছে, নিখোঁজ জওয়ানদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জওয়ান
নিখোঁজ ও সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিকিম প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে
তিনি লিখেছেন, ‘সিকিম সরকার চাইলে সব রকমভাবে পাশে
রয়েছি।’
Durga Puja 2023: তিনিই পারেন! হিন্দু মন্দিরে মুসলিম মেয়েকে কুমারী রূপে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির
উপর বিশেষ ভাবে নজর রাখতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার
নির্দেশে উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা দিয়েছেন মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য এবং আইএএস
আধিকারিকেরা।
তিস্তায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য চলছে। স্থানীয়দের আগেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া
হয়েছে। ১৫-২০ ফুট উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। সেনাবাহিনী বলছে, লোনক হ্রদের ফাটল আরও বড় হয়েছে। আরও ২৫ ফুট উচ্চতায় বইবে
জল।
IT Inspector: স্নাতক পাশেই হতে পারেন আইটি ইন্সপেক্টর, আজই আবেদন করুন এই পদ্ধতিতে
চুংথাংয়ের কাছে সমস্ত ব্রিজ ভেঙ্গে
গিয়েছে। বহু এলাকায় রাস্তাঘাট জলের তলায়। কালিম্পং হয়ে দার্জিলিংয়ের বিকল্প
রাস্তাও বন্ধ। বহু গরবাড়ি ভেঙেছে, গাড়ি তলিয়ে গিয়েছে।
তিস্তার ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৩৪৮৪ কিউসেক জল, গজলডোবা থেকে ছাড়া হয়েছে ৭০০০ কিউসেক জল। একের পর এক মৃতদেহ ভেসে আসছে জলে।
এককথায়,
গত কয়েক ঘণ্টায় সিকিমের পরিস্থিতি কার্যত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।