রূপোলি পর্দা থেকে শুরু করে বড় বড়
পোস্টারে আমরা আজকাল নারীদের বিকিনিতে দেখি। এশিয়া ইউরোপের সমুদ্র সৈকতে এ দৃশ্য
খুবই সাধারণ। গোয়াতে মহিলাদের বিকিনিতে সানবাথ নিতেও দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, ইউরোপের দেশগুলোতে যেখানে বিকিনিকে নারীর স্বাধীনতার সঙ্গে
সম্পৃক্ত হিসাবে দেখা হচ্ছে, সেখানে এক সময় এই
পোশাক নিয়ে ভিন্ন ধরনের পরিবেশ ছিল। ১৯৫৭ সালের যুগে, এমন অনেক ইউরোপিয় দেশ ছিল, যেখানে বিকিনিতে মহিলাদের দেখায় প্রায় যেত না। এই পোশাকে প্রকাশ্যে হাজির হলে
চালান কেটে জরিমানা নেওয়া হত। এটাই ছিল শাস্তি।
আরও পড়ুন: এই শিব মন্দিরটি স্থাপত্যের অপার বিস্ময়!
আরও পড়ুন: আমেরিকা সম্পর্কিত এই ১০টি তথ্য জানতেন কি
এই সম্পর্কিত একটি ছবিও সোশ্যাল
মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে একজন
মহিলাকে বিকিনি পরার জন্য জরিমানা দিতে হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন মহিলা বিকিনি পরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং একজন পুলিশ অফিসার
একটি কাগজে কিছু লিখছেন। ছবিটি সাদা কালোই এবং ১৯৫৭ সালে তোলা। ছবিটির ক্যাপশনে
তথ্য দেওয়া হয়েছিল যে ১৯৫৭ সালে ইতালির একটি সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরার জন্য একজন
মহিলাকে জরিমানা দিতে হচ্ছে।
সেই সময়ে, জনসমক্ষে বিশেষ করে ফরাসি আটলান্টিক উপকূল, স্পেন, ইতালি এবং
পর্তুগালে বিকিনি পরা নিষিদ্ধ ছিল। প্রসঙ্গত, এই সাহসী পোষাকটি ১৯৪৬ সালে ফরাসি অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার এবং ড্রেস ডিজাইনার
লুই রিয়ার্ড মহিলাদের জন্য তৈরি করেছিলেন। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি আনুষ্ঠানিকভাবে
এই স্যুটটি ডিজাইন করেছিলেন এবং এর নাম দেন বিকিনি। এটি প্রথম ১৯ বছর বয়সী মডেল
মিশেলিন বার্নার্ডিনি লুই পরেছিলেন। আমেরিকার বিকিনি অ্যাটল জায়গার নামানুসারে
নামকরণ করা হয়েছিল বিকিনি। এখন যদিও বিকিনি নারীরা প্রকাশ্যে পরিধান করে, তবুও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল-খাইমাহতে এখনও বিকিনি পরা
সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে।