মাঝে মধ্যেই চোখের পাতা লাফিয়ে ওঠে। কেউ কেউ মনে করেন এ
কোনও বিপদের সংকেত, আবার কারও মতে চোখের পাতা কাঁপলে শরীর অসুস্থ হতে পারে। আসলে
চোখের পাতা কেঁপে ওঠার কয়েকটি কারণ আছে, যা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার
ইঙ্গিত দেয়।
সাধারণত
পেশীর সংকোচনের ফলেই চোখের পাতা কেঁপে ওঠে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় মিয়োকোমিয়া।
দিনে দুই
একবার এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। তবে যদি মাত্রাতিরিক্ত তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
মানসিক চাপের কারণে এমনটি হতে পারে। অনেকেই মানসিক চাপে ভুগে থাকেন।
এর ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। ঠিক তেমনই চোখের পাতা লাফানো মানসিক
চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোনও কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা
লাফাতে পারে।
চোখের
সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। দৃষ্টিগত যেকোনও সমস্যা থাকলে, তা
চোখের উপর চাপ পড়ে। অনেকক্ষণ ধরে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে; চোখের
দৃষ্টিতে তা প্রভাব ফেলতে পারে।
অতিরিক্ত ক্যাফিন ও অ্যালকোহল গ্রহণের ফলেও চোখের পাতা কেঁপে উঠতে
পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে মিয়োকোমিয়া
হতে পারে। তাই এসব বর্জন করাই শ্রেয়।
কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, অতিরিক্ত
অ্যালকোহলের প্রভাব, চোখে কন্ট্যাক্ট লেন্স ঠিকমতো না বসানো
কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখের মধ্যকার নার্ভ দুর্বল হয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতার কারণে
চোখের পাতা লাফায় বলে চক্ষু চিকিত্সকরা মনে করেন।
পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকেও চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে বিবেচনা
করা হয়। বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবজনিত কারণে এমনটি হতে পারে।
অ্যালার্জির ফলে অনেকের চোখ চুলকায়। এক্ষেত্রে চোখের জলের সঙ্গে
হিস্টামিনও নির্গত হয়। এ কারণে চোখ কেঁপে উঠতে পারে।
অতিরিক্ত চোখ লাফানোর প্রতিকার হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
ঠান্ডা গোলাপ জলে একটি সুতির কাপড় ডুবিয়ে চোখের উপর দিতে পারেন।