শিশু থেকে বৃদ্ধ- আইসক্রিম সবারই প্রিয়। এর স্বাদ
এতটাই মধুর যে গ্রীষ্ম বা শীতকালেও মানুষ এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকে না। আইসক্রিম শীতলতার
অনুভূতি দেয়। এই কারণেই কেউ কেউ দিনে ৩-৪টি আইসক্রিম খান। কিন্তু অতিরিক্ত আইসক্রিম
খাওয়ার ফলে অনেক স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। আইসক্রিমে দুধ, চকলেট, অনেক ধরনের ড্রাই
ফ্রুট, চেরি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়, যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। সেই
সঙ্গে অতিরিক্ত আইসক্রিম খাওয়ার ক্ষতিগুলি সম্পর্কেও জেনে রাখুন।
ওজন বৃদ্ধি
আইসক্রিমে চিনি, ক্যালোরি, ফ্যাট থাকে যা স্বাস্থ্যের
জন্য ভাল নয়। এটি স্থূলতা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনি যদি দিনে দুই থেকে তিনটি
আইসক্রিম খান, তাহলে ১০০০-এর বেশি ক্যালরি শরীরে যায় যা ওজন বাড়াতে যথেষ্ট।
পেটের চর্বি বৃদ্ধি
আইসক্রিমে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি।
বেশি রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে পেটে চর্বি জমতে শুরু করে। কার্বোহাইড্রেট
শক্তির একটি ভাল উৎস, তাই পরিমিত পরিমাণে আইসক্রিম খাওয়া উচিত।
হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
আইসক্রিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা ট্রাইগ্লিসারাইড
এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। কারও যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে, ওজন বেশি থাকে তাহলে
প্রতিদিন বেশি করে আইসক্রিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এক কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিমে
১০ গ্রাম আর্টারি-ক্লগিং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ২৮ গ্রাম চিনি থাকে।
মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর
একটি গবেষণা অনুসারে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং চিনি
সমৃদ্ধ খাবার জ্ঞানীয় কগনিটিভ স্কিল এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস করতে পারে। এক কাপ আইসক্রিম
খেয়েও এটি ঘটতে পারে।
চিনির মাত্রা বেশি হতে পারে
আইসক্রিমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা খেলে আপনার
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে
আইসক্রিম খাওয়া উচিত।
অলস বোধ
আইসক্রিমে চর্বি বেশি, যা হজম হতে বেশি সময় লাগে।
সাধারণত এর ফলে পেট ফাঁপা, বদহজমের সমস্যা হয়। দ্রুত হজম না হওয়ার কারণে রাতে আইসক্রিম
খেয়ে ঘুম ভাল হয় না।
আইসক্রিম খাওয়ার উপকারিতা
আইসক্রিম খাওয়ার অনেক অসুবিধা থাকলেও এর কিছু
উপকারিতাও রয়েছে।
গ্রীষ্মের মরসুমে আইসক্রিম খাওয়া সতেজতা, শীতলতার
অনুভূতি দেয়।
চকোলেট আইসক্রিম চকোলেটে উপস্থিত পুষ্টির অনেক
উপকারিতা প্রদান করে।
আইসক্রিমে দুধ, ড্রাই ফ্রুটস, চেরিও থাকে যা শরীরে
অনেক পুষ্টি যোগায়।
দুধ থেকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি, প্রোটিনের
অভাব হয় না। এতে হাড়ের উপকার হয়।
আইসক্রিম খেলে মন খুশি হয়, মানসিক চাপ দূর হয়।
আলসারের সমস্যায় ভুগে থাকলে আইসক্রিম খেলে জ্বালাপোড়া
ও ব্যথা দূর হয়।