ভারত নয় জানেন কি রাবণের দেশ শ্রীলঙ্কাতেও উদযাপিত হয় দশেরা। ১০ দিন ধরে রাম রাবণের যুদ্ধ চলেছিল। তারপরে রাবণকে বধ করেন রামচন্দ্র।
শ্রীলঙ্কায় দশেরা উদযাপনের কারণ হল রাবণ বধের সঙ্গে সঙ্গে সেদিন থেকে নাকি শ্রীলঙ্কা অসুর শাসন থেকে মুক্ত হয়। অর্থাত্ অশুভ শক্তির উপরে শুভ শক্তির জয় হিসেবেই সেখানে দশেরা উদযাপিত হয়। মূলত তামিল হিন্দুরাই এই উত্সব পালন করে থাকেন।
কলোম্বো থেকে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে একটি অভয়ারণ্য, যেটিকে হনুমান স্থল বলা হয়ে থাকে। সেখানে বিশাল বিশাল হনুমানের মূর্তি রয়েছে।
দ্বিতীয় জায়গাটি হল কতরঙ্গমা মন্দির। এই মন্দিরে পূজিত হন কার্তিকেয় সুব্রহ্মনিয়ম। যিনি রামকে সাহায্যের জন্য যুদ্ধে যোগ দিতে চেয়ে ইন্দ্রের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করেছিলেন এবং রাবণের কাছ থেকে ব্রহ্মাস্ত্র কেড়ে নিতে চয়েছিলেন।
তৃতীয় জায়গাটি হল সীতা আমন মন্দির। শ্রীলঙ্কার নুয়ারা এলিয়ায় রয়েছে সেই মন্দির। এই জায়গাটিকে অশোক বাটিকা বা অশোক বন বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কার হিন্দুরা। সেখানেই সীতাকে বন্দিনী করে রেখেছিলেন রাবণ। প্রায় ৫০০০ বছরের পুরনো এই মন্দির। এই সীতা আমন মন্দির থেকে আবার ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আরেকটি জায়গা। যার নাম দিবুরুমপালা মন্দির। যেখানে সীতাকে অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়েছিল।
এর কাছেই আবার রয়েছে ভটকা হনুমান মন্দির। এইখানে প্রথম পা রেখেছিলেন হনুমান। এখান থেকেই পরে সীতামাতাকে খোঁজা শুরু করেছিলেন তিনি। এছাড়াও পুট্টালামোর মুনিস্বরম মন্দির রয়েছে। এখানেও ভগবান শিবের মন্দির রয়েছে। রাবণ বধের পর এখানে পা রেখেছিলেন রাম। সেকারণে হিন্দুদের কাছে এই স্থানটিও পবিত্র। এখানেও দশেরা ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়ে থাকে।