শাস্ত্র মতে ভোর চারটে
থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময়টিকে
বলে ব্রহ্ম মুহূর্ত। এটি অক্ষয় মুহূর্ত নামেও পরিচিত। ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠলে
লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এর ফলে ব্যক্তির আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হয়।
ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে জপ
করুন এই মন্ত্র
ব্রহ্ম মুহূর্তে ওঠার পর হাতের তালু দেখে
নিজের ইষ্টদেবকে স্মরণ করুন। তার পর এই মন্ত্রটি জপ করবেন, এটি হল-- ওম ভূর্ভুবঃ স্বঃ
তৎসবিতুর্বরেণ্যং ভার্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো য়ো নঃ প্রচোদয়াৎ।
ব্রহ্ম মুহূর্তে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার
পাশাপাশি ধ্যান মুদ্রায় বসে মহাদেবকে স্মরণ করে ওম শব্দটি উচ্চারণ করতে পারেন। এর
ফলে মন শান্ত,
একাগ্র হবে।
ব্রহ্ম মুহূর্তে এই মন্ত্র
জপ করলে পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি বৈভব বাড়ে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী
ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে ধ্যান করা উচিৎ। এই সময়ে পরিবেশ শান্ত থাকে। এমন শান্ত
পরিবেশে ধ্যানমগ্ন হওয়াকে শুভ মনে করা হয়।
ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান
সেরে পূজার্চনা করা উচিৎ। ঈশ্বর আরাধনার শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত এটি। এ সময়ে পুজো করলে
দেবদেবী প্রসন্ন হন ও জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসেন।
ছাত্রছাত্রীরা ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে পড়াশোনা
করলে সুফল পেতে পারেন। পড়াশোনা করার জন্য ব্রহ্ম মুহূর্ত অত্যন্ত উপযোগী। এ সময়ে
যা পড়বেন, তা
দীর্ঘদিন মনে থাকবে।
ব্রহ্ম মুহূর্তে উঠে জপ করুন—‘করাগ্রে বসতি
লক্ষ্মী, করমধ্যে
সরস্বতী। কর মূলে স্থিতো ব্রহ্মা, প্রভাতে কর দর্শনম।’ এই
উপায়ে ইতিবাচক শক্তি দিয়ে দিনের সূচনা হয়।
এ সময়ে মনের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসতে
দেবেন না।
ব্রহ্ম মুহূর্তে ভোজন করা উচিৎ নয়।
এ সময়ে কখনও কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার
করতে নেই।